জুমুয়ার দিনের আদব - জুমুয়ার দিনের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।

জুমুয়ার দিনের আদব এবং জুমুয়ার দিনের ফজিলত সম্পর্কে আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা। সপ্তাহে সাত দিন, তার মধ্যে শুক্রবার অর্থাৎ জুমুয়ার দিন হলো সর্বশ্রেষ্ঠ দিন। কারণ এই জুমুয়ার দিনেই সবচেয়ে বেশি নেয়ামত মানুষকে দান করা হয়েছে। এমনকি এই জুমুয়ার দিনেই আমাদের আদি মানব বা আদি পিতা হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল। কাজেই এই দিনে একটি বিশেষ নামাজের হুকুম হয়েছে।
জুমুয়ার-নামাযের-আদব-ও-ফযীলত
এছাড়া আমরা আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আরও জানতে পারবো জুমুয়ার নামাজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফজিলত, জুমুয়ার দিনের কতিপয় কিছু ফজিলত সম্পর্কে, জুমুয়ার নামায ওয়াজিব হওয়ার কতিপয় শর্তসমূহ, জুমুয়ার নামায সহীহ হওয়ার কতিপয় শর্তসমূহ সম্পর্কে। তাই একজন প্রকৃত মুসলমান হিসেবে আমাদের এই বিষয়গুলো জানা খুবই জরুরী এবং আবশ্যকীয়।

ভূমিকা

সপ্তাহে সাত দিন, তার মধ্যে শুক্রবার অর্থাৎ জুমুয়ার দিন হলো সর্বশ্রেষ্ঠ দিন। কারণ এই জুমুয়ার দিনেই সবচেয়ে বেশি নেয়ামত মানুষকে দান করা হয়েছে। এছাড়া জুমুয়ার দিনকে ঈদের দিনের সাথেও তুলনা করা হয়েছে। জুমুয়ার দিনের কতিপয় আদব, জুমুয়ার দিনের ফযিলত সম্পর্কে, জুমুয়ার নামাযের তাৎপর্য বা ফজিলত, জুমুয়ার নামায ওয়াজিব হওয়ার শর্তসমূহ,


জুমুয়ার নামায সহীহ হওয়ার শর্তসমূহ ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য আজকের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হইলো। কেননা, আমরা মুসলমান হিসেবে আমাদের জিন্দেগী আমরা কিভাবে চালাবো, কোন পথে চললে দুনিয়া এবং আখিরাতে শান্তি পাবো তা কিন্ত আমাদের অনেকেই জানিনা। আমাদের পরকালের হিসাব নিকাশের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে।

জুমুয়ার নামাযের তাৎপর্য বা ফজিলত

আল্লাহ তা'আলার নিকট নামাযের ন্যায় প্রিয় সামগ্রী আর কিছু নেই। এই জন্যই কুরআন হাদীসে নামাযের জন্য যত তাগীদ এসেছে, এতো তাগীদ অন্য কোন ইবাদতের জন্য আসে নাই। এজন্য জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, বরং জন্মের বহু পূর্ব হতে মৃত্যুর বহু পর পর্যন্ত সেই রাহমানুর রাহীমের অসংখ্য নেয়ামত অজস্রভাবেই বান্দার উপর বর্ষিত থাকে, আর কিছু শুকরিয়া আদায়ের জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা হয়ে থাকে। 


জামাতে নামাযের উপকারিতা এবং ফজিলত বিষয়ে বর্ণ্না করা হয়েছে যে, যত বেশি সংখ্যক মুসলমান একত্র হয়ে নামায আদায় করবে, ততোই দুনিয়া ও আখিরাতের নেয়ামত অধিক হাছিল হতে থাকবে। উম্মতে মোহাম্মদী যেহেতু সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত সেহেতু তাদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ দিন অর্থাৎ শুক্রবার এবং সর্বশ্রেষ্ঠ এবাদত। শুক্রবার জুমুয়ার নামায ধার্য্য হলো। 


এজন্যই যেখানে মুসলমানদের গৌরব ও আধিপত্য আছে সেখানে শুক্রবার দুনিয়াবী সব কাজ কাম বন্ধ রেখে দূর দুরান্তর থেকে সকলে সকাল সকাল গোসল করে পরিষ্কার কাপড় পরিধান করে সুগন্ধি আতর লাগিয়ে জামে মসজিদে একত্র হয়ে পবিত্র এই দিনটিকে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগীতে অতিবাহিত করে থাকে।

জুমুয়ার দিনের আদব

  1. প্রত্যেক মুসলমানেরই বৃহস্পতিবার দিন শেষ বেলা হতেই জুমুয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়া এবং যত্ন নেওয়া কর্তব্য। বৃহস্পতিবার আছরের পর দূরুদ, এস্তেগফার এবং তাসবীহ তাহলীল বেশি করে পড়া উত্তম। পরিধানের কাপড় পরিষ্কার করতে হবে। অতীতের বুযুর্গানে দ্বীন বলেছেন যে, জুমুয়ার ফযিলত সবচেয়ে বেশি সেই ব্যক্তি পাবে, যে জুমুয়ার প্রতিক্ষায় থাকে এবং বৃহস্পতিবার হতেই জুমুয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। সবচেয়ে হতভাগা সেই ব্যক্তি যে জুমুয়া কবে তার খবর রাখেনা।
  2. প্রত্যেকে জুমুয়ার দিন গোসল করবে, মাথার চুল কাটাবে, সর্বশরীর উত্তম্রুপে পরিষ্কার করবে, মিসওয়াক করে দাঁতগুলোকে পরিষ্কার করবে এগুলো উত্তম ফযীলতের কাজ।
  3. যার নিকট যেরূপ উত্তম পোশাক থাকবে, সেই উত্তম পোশাক পরিধান করবে, খুশবু, আতর লাগিয়ে আগে আগে মসজিদে যাবে, নখ কাটবে ইত্যাদি কাজগুলো করে মসজিদে সবার আগে যাওয়ার চেষ্টা করবে।
  4. জুমুয়ার দিনে যে যত সকালে মসজিদে যাবে সে ততোই অধিক সওয়াব পাবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন, জুমুয়ার দিনে ফেরেশতাগণ জামে মসজিদের দরজায় দন্ডায়মান থেকে মুসল্লিগণ যে যে সময় আসতে থাকে তাদের নাম লিখতে থাকেন। যে সর্বপ্রথম আসে সে আল্লাহর রাস্তায় একটি উট কোরবানী করার সমতূল্য সওয়াব পায়। দ্বিতীয় ব্যক্তি একটি গরু কোরবানী করার সমান সওয়াব পায়, তৃতীয় ব্যক্তি একটি ছাগল কোরবানী করার সমান সওয়াব পায়, তারপর যে আসে সে একটি মোরগ জবেহ করার সমতূল্য সওয়াব পায়, তারপর যে আসে সে একটি ডিম দান করার মতো সওয়াব পায়। তারপর যখন খুতবা আরম্ভ হয়, তখন ফেরেশতাগণ ঐ খাতা বন্ধ করে খুৎবা শুনতে থাকেন। (বুখারী)
  5. জুমুয়ার নামাযের জন্য যে ব্যক্তি ঘর থেকে বাহির হয় তার প্রত্যেক কদমে এক বছরকাল নফল রোযা রাখার সমান সওয়াব লাভ করে। (তিরমিযী শরীফ)
  6. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জুমুয়ার দিনে ফজরের নামাযে আলিফ-লাম-মীম সজদা' এবং হাল আতা আলাল ইনসান এ দুটি সূরা পাঠ করতেন। কাজেই এটা মোস্তাহাব মনে করে কোন কোন সময় পড়বে, লোকেরা যেন ওয়াজিব মনে না করে।
  7. জুমুয়ার নামাযে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) 'সূরায়ে জুমুয়া এবং সূরায়ে মুনাফিকূন' এবং কখনও কখনও ' সাব্বিহিসমা' এবং হাল আতাকা হাদীসুল গাশিয়াহ' এ দুটি সূরা পাঠ করতেন।
  8. জুমুয়ার দিনে জুমুয়ার নামাযের আগে কিংবা পরে সুরায়ে কাহ্‌ফ তিলাওয়াত করলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। হাদীস শরীফে আছে ' যে ব্যক্তি জুমুয়ার দিনে সূরা কাহ্‌ফ তিলাওয়াত করবে, কিয়ামতের দিন তার জন্য আরশের নিচে আকাশতূল্য উচ্চ একটি নূর প্রকাশ পাবে, যা দ্বারা তার শহরের ময়দানে সব অন্ধকার দূর হয়ে যাবে এবং বিগত জুমুয়া হতে এ জুমুয়া পর্যন্ত তার যত ছগীরা গুনাহ হয়েছে সব মাফ হয়ে যাবে। তবে তওবা ব্যতিত কবীরা গুনাহ মাফ হয়না।
  9. জুমুয়ার দিনে দরূদ শরীফ পড়লে অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়, এজন্যই হাদীস শরীফে জুমুয়ার দিনে বেশি বেশি দরূদ শরীফ পড়ার হুকুম এসছে। তাই আমরাও চেষ্টা করবো জুমুয়ার দিন বেশি বেশি দরূদ শরীফ পাঠ করার।

জুমুয়ার দিনের ফযীলত

  • জুমুয়ার দিনের অনেকগুলো ঘটনা এবং ফযীলত রয়েছে যা আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা। এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবো। মুসলিম শরীফে আছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন, সপ্তাহের দিনের মধ্যে জুমুয়ার দিনই সর্বশ্রেষ্ঠ দিন। এই দিনেই হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল, এই দিনেই তাঁকে বেহেশতে স্থান দেয়া হয়েছিল এবং এই দিনেই তাকে বেহেশত থেকে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়েছিল। আর এই জুমুয়ার দিনেই কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে।
  • বুখারী শরীফে আছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন-জুমুয়ার দিনে সমস্ত দিনের মধ্যে এমন একটি সময় আছে, সে সময় কোন মুমিন বান্দা আল্লাহর নিকট যা কিছু চাইবে আল্লাহ পাক তাই দিবেন। বিভিন্ন মতভেদের মধ্যে দুটি উল্লেখযোগ্য। এক- সে সময়টি খুৎবার শুরু থেকে নামাযের শেষ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে রয়েছে। অপরটি- সে সময়টি আছরের পর দিনের শেষ ভাগে আছে। অর্থাৎ আছর থেকে মাগরীবের আগ মুহুর্তে।
  • আবু দাউদ শরীফে আছে- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন, জুমুয়ার দিনই সর্বাপেক্ষা বেশি ফযীলতের দিন। এই দিনেই কিয়ামতের জন্য সিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। তোমরা এ দিনে আমার জন্য বেশি করে দরূদ শরীফ পড়িও। ঐ দিন তোমরা যখন দরূদ বা সালাম পড় তৎক্ষনাৎ তা আমার সামনে পেশ করা হয় এবং তখন আমি তার প্রতি উত্তর ও দোয়া দেই। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করিলেন, হে আল্লাহর রাসূল!আপনার সামনে কি রূপে পেশ করা হয় মৃত্যুর পরে তো আপনার হাড় পর্যন্ত থাকবে না। তখন নবী করীম (সাঃ) বললেন জেনে রাখো যে, আল্লাহ পাক জমীনের জন্য নবীদের শরীর হজম করা হারাম করে রেখেছেন।
  • তিরমীযী শরীফে আছে- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন, আল্লাহ পাক স্বীয় কালামে 'শাহেদ' শব্দের কসম করেছিলেন। উহার অর্থ জুমুয়ার দিন। আল্লাহর নিকট জুমুয়ার দিন অপেক্ষা ভালো দিন আর নেই। এ দিনে এমন একটি সময় আছে, সেই সময়ে মুমিন বান্দা আল্লাহর নিকট যেকোন দোয়া করবে, আল্লাহ পাক তা কবুল করবেন এবং যেকোন বিপদ হতে রক্ষা পাবার জন্য আল্লাহর নিকট কান্নাকাটি করবে, নিশচয়ই আল্লাহ পাক তাকে সে বিপদ হতে রক্ষা করবেন।
  • তিরমীযী শরীফে আছে- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন, যে মু'মিন মুসলমান বান্দার মৃত্যু জুমুয়ার দিনে বা জুমুয়ার রাতে হয়, আল্লাহ পাক তাকে কবরের আযাব থেকে বাঁচিয়ে রাখেন।
  • এক জুমুয়ার দিন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, হে মুসলমানগণ! জুমুয়ার দিনকে আল্লাহ পাক তোমাদের জন্য ঈদের দিন ধার্য্য করেছেন। অতএব, এই দিনে তোমরা গোসল করবে, গরীব হলেও সাধ্যমত ভালো কাপড় পরিধান করবে। অবশ্যই মিসওয়াক করবে, দাঁত ও মুখ পরিষ্কার করবে এবং সুগন্ধি, আতর, মেশক তৈল থাকলে তা লাগাবে।

জুমুয়ার নামায ওয়াজিব হওয়ার শর্তসমূহ

  1. জুমুয়ার নামায যেসব কারণে বা যাদের জন্য ওয়াজিব হয়ে যায় তা আলোচনা করা হইলো।
  2. মুসাফির হওয়াঃ ্মুসাফিরের উপর জুমুয়ার নামায ওয়াজিব নহে, কিন্ত যদি কেউ পড়ে তবে তা অবশ্যই উত্তম। মুসাফির যদি কোথাও ১৫ দিন অবস্থান করে তবে তার উপর জুমুয়ার নামায ওয়াজিব হয়ে যাবে। অসুস্থ্য অবস্থায়ঃ অতএব যে রোগী জুমুয়ার মসজিদ পর্যন্ত নিজ ক্ষমতায় হেঁটে যেতে অক্ষম তার উপর জুমুয়ার নামায ফরয হবেনা। এরূপে যদি কোন বৃদ্ধ বার্ধক্যের কারণে জামে মসজিদে হেঁটে যেতে অক্ষম কিংবা অন্ধ তাদের উপর জুমুয়ার নামায ফরজ নহে।
  3. আযাদ হওয়াঃ আযাদ হয়ে যাওয়া গোলামের উপর জুমুয়ার নামায ফরয নহে।
  4. পুরুষ হওয়াঃ স্ত্রীলোকের উপর জুমুয়ার নামায ফরয নহে।
  5. যেসব ওযরের কারণে পাঞ্জেগানা নামাযের জামাত তরক করা জায়েয হয় সেসব ওযর না থাকা, যথা-(ক) মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষিত হওয়া (খ) রোগীর সেবা যত্নে ব্যস্ত থাকা (গ) পথে শত্রুর ভয়ে প্রাণ নাশের আশঙ্কা থাকা ইত্যাদি।
  6. পাঞ্জেগানা নামায ফরয হওয়ার জন্য যেসব শর্ত আছে তা মৌজুদ থাকা। যথা- আকেল হওয়া, বালেগ হওয়া, মুসলমান হওয়া এসব শর্তে জুমুয়ার নামায ফরজ হয়। কিন্ত যদি কেউ এই শর্তগুলো ছাড়াও জুমুয়া পড়ে তবে তার ফরয ওয়াক্ত অর্থাৎ যোহর আদায় হয়ে যাবে। যেমন- কোন মুসাফির অথবা কোন স্ত্রীলোক যদি জুমুয়ার নামায পড়ে তবে তার যোহর আদায় হয়ে যাবে।

জুমুয়ার নামায সহীহ হওয়ার শর্তসমূহ

আমরা যারা জুমুয়ার নামায আদায় করি তাদের হয়তো অনেকেই এই বিষয়ে জানিনা যে, জুমুয়ার নামায সহীহ হওয়ার শর্তসমূহ কি কি। আজকের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে তা জানতে পারবেন।


শহর হওয়াঃ বড় কিংবা ছোট শহর বা ছোট শহরতূল্য গ্রাম হতে হবে। ছোট পল্লীতে, মাঠে বা বিলের মধ্যে নদী বা সমূদ্রের মধ্যে জুমুয়ার নামায আদায়ের বিধান নেই।

যোহরের ওয়াক্ত হওয়াঃ অতএব, যোহরের ওয়াক্তের পূর্বে বা পরে জুমুয়ার নামায পড়লে তা আদায় হবেনা। আবার জুমুয়ার নামায পড়তে পড়তে যদি যোহরের ওয়াক্ত চলে যায় তবে জুমুয়ার নামায দরূস্ত হবেনা। জুমুয়ার নামাযের কোন ক্বাযা নেই। কাজেই কোন কারণে জুমুয়ার নামায ছুটে গেলে বা সহীহ না হলে যোহর পড়তে হবে।

নামাযের পূর্বে খুৎবা পড়তে হবে। যদি নামাযের পূর্বে খুৎবা না পড়ে পরে খুৎবা পড়লে জুমুয়ার নামায আদায় হবেনা।

খুৎবা অবশ্যই যোহরের ওয়াক্তের মধ্যে হতে হবে। যোহরের ওয়াক্তের পূর্বে খুৎবা পড়লে জুমুয়ার নামায আদায় হবেনা।

জামাত হওয়াঃ খুৎবার শুরু থেকে প্রথম রাকাতের সিজদা পর্যন্ত ঈমামের সঙ্গে কমপক্ষে ৩ জন পুরুষ থাকা চাই। শুধু স্ত্রীলোক বা নাবালেগ ছেলে মুক্তাদী হলে জুমুয়ার নামায দুরুস্ত হবেনা।

যদি সিজদা করার পূর্বে লোক চলে যায় এবং ৩ জনের কম অবশিষ্ট থাকে, কিংবা কেউই না থাকে তবে নামায ফাসেদ হয়ে যাবে। অবশ্য যদি সিজদা করার পর চলে যায় তবে কোন ক্ষতি নেই।

যে স্থানে জুমুয়ার নামায পড়া হয় সেই স্থানে সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার থাকা চাই। যদি কোন গুপ্তভাবে নামায পড়া হয় যেখানে সাধারণের প্রবেশের অনুমতি নেই বা মসজিদের দরজা বন্ধ করে জুমুয়ার নামায পড়ে তবে জুমুয়ার নামায আদায় হবেনা।

লেখকের মন্তব্য এবং শেষ কিছু কথা

জুমুয়ার দিনের অনেকগুলো ঘটনা এবং ফযীলত রয়েছে যা আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা। মুসলিম শরীফে আছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন, সপ্তাহের দিনের মধ্যে জুমুয়ার দিনই সর্বশ্রেষ্ঠ দিন। এই দিনেই হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল, এই দিনেই তাঁকে বেহেশতে স্থান দেয়া হয়েছিল এবং এই দিনেই তাকে বেহেশত থেকে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়েছিল। 

আর এই জুমুয়ার দিনেই কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিবার, পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন। সবার আগে এমন আরো নতুন কোন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো দিয়ে পাশে থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url