পেঁয়াজ খাওয়ার নিয়ম- পেঁয়াজের ৪০টি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।
কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার নিয়ম এবং পেঁয়াজের ৪০টি উপকারিতা সম্পর্কে আপনি জেনে অবাক হবেন যে, আমরা নিত্যদিনে যে পেঁয়াজ খেয়ে থাকে তার কত গুনাগুন রয়েছে। রান্না করতে পেঁয়াজ ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই, পেঁয়াজ ছাড়া রান্নার কোন স্বাদ নেই। পেঁয়াজ দিয়ে মাছা, মাংস ভুনা খেতে অনেক মজাদার এবং পুষ্টিকর। পেঁয়াজের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
এছাড়া চুলের উপকারের জন্য পেঁয়াজের ব্যবহার, খালি পেটে পেঁয়াজ খাওয়ার উপকারিতা, পেঁয়াজ খেলে কি গ্যাসের সমস্যা হতে পারে, পেঁয়াজ খাওয়ার অপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পেঁয়াজকে বলা হয় গরীবদের কস্তুরী। পেঁয়াজের এই গুনাগুন এবং উপকারিতা সমূহ জানার জন্য আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি জানতে পারবেন।
ভূমিকা
পেঁয়াজ প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন তরকারি, সবজি, ভাজা, ভর্তা, খিচুরী প্রভূতি রান্নায় ব্যবহার করা হয়ে আসছে। আমিষ জাতীয় রান্নায় পেঁয়াজ তো লাগবেই। এছাড়া কাঁচা পেঁয়াজ চপ, কাটলেট ইত্যাদির সাথে খেতে অনেক ভালো লাগে। এমনকি পেঁয়াজ সালাদ হিসেবেও খাওয়া হয়ে থাকে। বিশেষ করে শীতকালে পেঁয়াজ যদি ঘিয়ে ভেজে খাওয়া হয় তাহলে শরীরে অনেক পুষ্টি পাওয়া যায়।
কাঁচা পেঁয়াজের সালাদ বর্ষাকালেও খাওয়া অনেক ভালো। এতে করে মন্দাগ্নি দূর হতে সাহায্য করে এবং খিদে বাড়াতেও সাহায্য করে থাকে। পেঁয়াজের গুনাবলির কথা আমরা আগে থেকেই সবাই কম বেশি জানি। রান্না করে খাওয়ার পাশাপাশি পেঁয়াজ আমাদের বিভিন্ন রোগের শেফা হিসেবে কাজ করে থাকে। পেঁয়াজের ব্যবহারবিধি এবং কার্যাকারিতা সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার নিয়ম
কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানিনা। কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার নিয়ম হিসেবে আমরা অনেকেই মুড়ি মাখিয়ে খেতে পছন্দ করি, আবার অনেকেই কাঁচা পেঁয়াজ দিয়ে সাথে কাঁচা মরিচ দিয়ে পান্তা ভাত খেয়ে থাকি। এতে খাওয়ার প্রতি রুচি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়মিত কাঁচা পেঁয়াজের রস কমপক্ষে এক গ্লাস করে খেতে পারলে আপনার যৌণ শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
কয়েকদিন নিয়ম করে খেতে পারলে দেখবেন আপনার যৌন ক্ষমতা আগের থেকে অনেক বেড়ে গেছে। নিয়মিত কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে সাহায্য করবে, কেননা, কাঁচা পেঁয়াজে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। তাই যাদের উচ্চ রকচাপ রয়েছে, হার্টের সমস্যা রয়েছে বা হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে তাদের উচিৎ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া যেতে পারে।
খালি পেটে পেঁয়াজ খেলে কি হয়
খালি পেটে পেঁয়াজ খেলে কি হয় তা আমাদের জানতে হবে। এক্ষেত্রে যাদের ওজন অনেক বেশি, যারা অনেক মোটা তাদের জন্য খুবই কার্যকরী। কেননা, নিয়মিত খালি পেটে পেঁয়াজের রস খেলে আপনার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করবে। নিয়মিত সকালে খালি পেটে পেঁয়াজের রস খাওয়ার অভ্যাস করলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করবে। কেননা, পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'সি' এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জিংক রয়েছে।
এছাড়া নিয়মিত পেয়াজ খেতে পারলে আপনার পেট পরিষ্কার হয়ে যেতে সাহায্য করবে, শরীরে স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। পেঁয়াজে পর্যাপ্ত পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা আপনার শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং সতেজ রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত সকালে খালি পেটে পেঁয়াজ খেলে আপনার শারিরীক এবং মানসিক চাপ দূর হয়ে যেতে সাহায্য করবে, আপনার যৌন ক্ষমতা বাড়তে সাহায্য করবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে সাহায্য করবে।
পেঁয়াজের গুরুত্বপূর্ণ ৪০টি উপকারিতা
পেঁয়াজ শুধুমাত্র যে রান্নায় ব্যাবহার করা হয়ে থাকে তা কিন্ত নয়। আমরা সাধারণত রান্নার জন্য পেঁয়াজের ব্যাবহার জেনে থাকি। রান্নার বাইরেও পেঁয়া্জের ব্যাবহার আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগের নিরাময়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। নিম্নে পেঁয়াজের গুরুত্বপূর্ণ ৪০টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হইলোঃ
- গরমকালে কাঁচা পেঁয়াজ ও কাঁচা আম কুচিয়ে কেটে সালাদ বানিয়ে খেতে পারলে সূর্যের তাপে বা তীব্র রোদ্দুরে শরীর কখনো খারাপ হবেনা।
- নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে বিশেষ করে গরমের সময় পেঁয়াজ খেলে শরীরে কোন গরম হাওয়া লাগবেনা। তাই দেখা যাচ্ছে পেঁয়াজ সব ঋতুতেই খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
- নিয়মিত পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে আপনার ব্রেইণ বা মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
- প্রতিদিন যেকোন উপায়ে পেঁয়াজ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে আপনার হার্টের জন্য খুবই উপকারী।
- ছোট-বড় সকলের জন্যই কাশি, শ্বাসকষ্ট এমনকি হাঁপানি রুগীদের জন্য নিয়মিত পেঁয়াজ খাওয়া খুবই উপকারী।
- শরীরের দূর্বলতার জন্য অনেকের মাথা ঘোরে, এমন সমস্যার সমাধানে নিয়মিত পেঁয়াজ খাওয়া জরুরী। এছাড়াও পেঁয়াজ খেলে বায়ু সারাতেও সাহায্য করে থাকে।
- যাদের বাতের সমস্যা রয়েছে, যারা বাত ব্যাধিতে অনেক কষ্ট পাচ্ছেন তাদের জন্য নিয়মিত পেঁয়াজ খাওয়া তো মহৌষধ। প্রতিদিন নিয়ম করে পেঁয়াজ খেতে পারলে বায়ুজনিত সকল কষ্ট কমে যাবে।
- আয়ুর্বেদের মতে, পেঁয়াজকে রসায়ন এবং গরম ঔষধি বলা হয়ে থাকে। রসায়ন অর্থে শরীরের সপ্তধাতুকে পুষ্ট করে। এই সপ্ত ধাতুগুলো হলো--রস, রক্ত, মাংস, মেদ, অস্থি, মজ্জা ও বীর্য। এই মত অনুসারে পেঁয়াজ হলো অত্যন্ত পুষ্টিকর আহার।
- পেঁয়াজ রান্না করে খেলে বা এর রস খেলে তা মধুর, তবে কফ বৃদ্ধি করে, পিত্ত বেশি বৃদ্ধি করেনা, বীর্যবৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, শরীরে তীব্র ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে।
- সাদা পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, কামোত্তেজনা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ধাতু বৃদ্ধি করতেও ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
- শরীরে বেশি ঘাম হলে বা কোন অংশ ফুলে গেলে পেঁয়াজ খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। অতিরিক্ত ঘাম হওয়া বন্ধ হয়ে যায় এবং ফোলাও কমে যেতে সাহায্য করে।
- লাল পেঁয়াজ খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। লাল পেঁয়াজ অত্যন্ত শীতল, খিদে বাড়াতে সাহায্য করে, শরীরের স্বাভাবিক শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে অন্ত্রের ক্রিয়াশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, পেট পরিষ্কার করতেও ব্যাপক সাহায্য করে থাকে।
- পেঁয়াজ গরম হলেও খাওয়ার পরে পেটের ভেতর গিয়ে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
- পেঁয়াজ একপ্রকার বিষনাশক, তাই নিয়মিত পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে শরীরের ভেতরকার অনিষ্টকারী জীবাণূ নষ্ট হয়ে যেতে সাহায্য করে।
- নিয়মিত পেঁয়াজ খাওয়ার ফলে শরীরের ভেতরকার সর্দি সেরে যেতে সাহায্য করে এবং পেঁয়াজ খেলে পেট গরম কমাতে সাহায্য করে।
- পেঁয়াজের রস শরীরে লাগালে 'লু' লেগে শরীরে যে তাপের সৃষ্টি হয় তা শান্ত করে দিতে সাহায্য করে।
- গরমকালে খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়ার ফলে পেটের ভিতরে অনেক অসুখ হয়, আমাশা হয়, বদহজম ইত্যাদি রোগ বালাই লেগেই থাকে। এসব ক্ষেত্রে পেঁয়াজের রস যদি দইয়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
- যাদের দৃষ্টি শক্তি অনেক কম, দুরের জিনিস কম দেখতে পায় তাদের জন্য উত্তম সমাধান হলো নিয়মিত পেঁয়াজ খাওয়া তাহলে দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।
- চেহারা সুন্দর, সর্বদা চমকদার রাখতে ও তেজস্বী রাখতে নিয়মিত পেঁয়াজ খাওয়া উত্তম।
- ত্বকের সমস্যার সমাধানেও পেঁয়াজ অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, ফোঁড়া, ফুস্কুড়ি, ব্রণ, গলগন্ড, মামস প্রভূতিতে পেঁয়াজ গিয়ে ভেজে পুলটিস তৈরী করে বাধলে বা পেঁয়াজের রস লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
- প্রতিদিন নিয়মিত দুই চা চামচ পেঁয়াজের রস তার সাথে দুই চা চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে সকালে নিয়ম করে খেতে পারলে পুরুষত্ব বাড়াতে এবং বীর্য বৃদ্ধি করতে ব্যাপক সাহায্য করবে।
- পেঁয়াজ কুচি কুচি করে কেটে সেদ্ধ করে সেই পানি ও পেঁয়াজ খেলে কফের কষ্ট দূর হয়ে যেতে সাহায্য করবে।
- পেঁয়াজ মিহি করে পিষে নিয়ে সাথে টাটকা টক দই ও চিনি মিশিয়ে খেতে পারলে অম্লরোগ সারাতে সাহায্য করবে এবং অম্বলের জন্য যে গলা ব্যাথা করে তা কমে যেতেও সাহায্য করবে।
- কাঁচা পেঁয়াজের সাথে টক দই মিশিয়ে সালাদ তৈরী করে নিয়মিত রাত্রে ভাত বা রুটির সাথে খেতে পারলে অনেক ভালো ঘুম হতে সাহায্য করবে।
- নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে গলা পরিষ্কার করতে, মুখমন্ডল পরিষ্কার করতে, দাঁত দুধের মতো সাদা করতে, স্মরণশক্তি ব্রদ্ধি করতে এবং সেই সাথে দূর্বল সতেজ করতে পেঁয়াজের কোন বিকল্প নেই।
- পেঁয়াজের রসে শুকনো তাওয়ায় সেঁকা হিং ও লবণ মিশিয়ে খেতে পারলে গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
- সাদা পেঁয়াজে একটু আখের গুঁড় ও সামান্য হলুদ মিশিয়ে খেতে পারলে পিলের রোগ সারাতে সাহায্য করবে।
- নিয়মিত পেঁয়াজের সাথে গুঁড় মিশিয়ে খাওয়ালে বাড়ন্ত বাচ্চাদের লম্বা হয়ে যেতে সাহায্য করবে।
- যেসব বাচ্চারা ভাত খেতে শিখেছে এবং যারা কৃমি রোগে ভুগছে তাদের এক চা চামচ করে পেঁয়াজের রস নিয়ম করে খাওয়ালে কৃমি বিনষ্ট হয়ে যেতে সাহায্য করবে এবং বদহজম থাকলে তাও সেরে যাবে।
- সাদা পেঁয়াজ থেঁতো করে শুকিয়ে দিলে বাচ্চাদের হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়ে যেতে সাহায্য করবে।
- পেঁয়াজ মিহি করে পিষে নিয়ে দু-তিনবার পানি ধুয়ে টক দই মিশিয়ে দিনে তিনবার করে খাওয়ালে আমাশা ও রক্ত আমাশা্র আম, রক্তপড়া বন্ধ হয়ে যেতে এবং মলের বেগ বন্ধ হয়ে যেতে সাহায্য করবে।
- চার চা চামচ করে পেয়াজের রস এক ঘন্টা অন্তর পানি মিশিয়ে খাওয়ালে বদহজমের জন্য পেটের যে অসুখ হয় তা সারাতে এবং বমি ভাব দূর করতেও সাহায্য করে।
- পেয়াজ মিহি করে কেটে নিয়ে দই মিশিয়ে তাতে প্রয়োজন মতো লবণ দিয়ে রোজ সকালে নিয়মিত খাওয়ালে অর্শ থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়, রক্তার্শ রোগ সারাতে সাহায্য করে।
- টাটকা কুচোনা পেঁয়াজ খেলে মেয়েদের ঋতুস্রাব ঠিক মতো হয়ে যেতে সাহায্য করে, আর এতে কোন রকমের ব্যাথাও হয়না।
- পেঁয়াজ থেঁতো করে সেই রস শুকিয়ে দিলে বা সেই রসের ফোটা নাকে দিলে নাকে রক্ত পোড়া বন্ধ হয়ে যেতে সাহায্য করে।
- পেঁয়াজ চার টুকরো করে দাগিয়ে নিয়ে অজ্ঞান ব্যাক্তির নাকের কাছে এনে শুঁকালে তার জ্ঞান ফিরে পেতে সাহায্য করে।
- পেঁয়াজের রস করে মাথায় লাগালে মাথার উকুন মরে যেতে সাহায্য করবে।
- পেঁয়াজের রস করে নিয়মিত কয়েকদিন মাথায় দিলে চুল ওঠা বন্ধ করবে এবং চুলের গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করবে।
- পেঁয়াজের রস করে দাদ এবং চুলকানিতে লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
- পেঁয়াজের রস সরিষা তেলের সাথে মিশিয়ে লাগালে গেঁটে বাতের ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করবে।
- পেঁয়াজের রস মাথায় লাগালে বা রস খেলে মাথা ব্যাথা দূর হয়ে যেতে সাহায্য করবে।
চুলের জন্য পেঁয়াজের রসের উপকারিতা
চুলের জন্য পেঁয়াজের রসের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য এটা জানা খুবই জরুরী। পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায়, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে, চুল পাকা বন্ধ করতে সাহায্য করে, কেননা পেঁয়াজের রসে রয়েছে সালফার এবং এলিসিন। আবার ছেলেদের ক্ষেত্রে দেখা যায় পড়াশোনার জন্য, চাকরির জন্য বা যেকোন কারণে বাড়ির বাইরে থাকা লাগলে লক্ষ্য করা যায় সেখানকার পানির সাথে খাপ খাওয়ানো অনেক কঠিন হয়ে যায়।
বিশেষ করে সাপ্লাই পানিতে গোসল করলে দেখা যায় অনেক চুল পড়ে যায়। চুল পড়ার আরও একটি কারণ হলো মাথায় অতিরিক্ত চাপ নেয়া বা অতিরিক্ত টেনশন করলেও মাথার চুল পড়ে যেতে পারে। তাই এর উত্তম এবং সঠিক সমাধান হলো নিয়মিত পেঁয়াজের রস করে মাথায় লাগানো এবং খেলেও অনেক উপকার।
পেঁয়াজ খাওয়ার অপকারিতা
পেঁয়াজ খাওয়ার গুনাগুন, পেঁয়াজ খাওয়ার কার্যকারিতা বা উপকারিতার পাশাপাশি পেঁয়াজ খাওয়ার কিছু অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক রয়েছে। যা আমাদের অবশ্যই জানতে হবে এবং সে সম্পর্কে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, আমাদের সাবধান থাকতে হবে। নিয়ম মাফিক কোন কিছু খেলে তার তেমন কোন সমস্যা দেখা দেয়না। নিয়মের বাইরে গেলে বা অতিরিক্ত কিছু খেলে তার ভালোর চেয়ে বা উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি থাকে।
তেমনি পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও তাই নিয়ম না মেনে বা অতিরিক্ত পেঁয়াজ খেলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের এলার্জি রয়েছে তাদের জন্য পেঁয়াজ না খাওয়াই উত্তম সিদ্ধান্ত। কেননা, অতিরিক্ত পেয়াজ খেলে এলার্জির প্রবণতা বাড়তে বাড়ে, আর এটাও জেনে রাখা দরকার যে এলার্জির মূল উৎস হলো পেঁয়াজ। আবার কারও ক্ষেত্রে পেঁয়াজ খেলে এলার্জির পাশাপাশি ত্বক নষ্ট হয়ে যেতে পারে, শরীরে চুলকানি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি বেড়ে যেতে পারে। তাই পেঁয়াজ খেলেই যে সবার উপকার হবে এমনটা না ভেবে নিজের শরীরের অবস্থা বুঝে পেঁয়াজ খাওয়া জরুরী।
শেষ কথা এবং লেখকের মন্তব্য
উপোরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা পেঁয়াজের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে পারলাম। এখান থেকে আমরা হয়তো অনেক কিছুই শিখতে পারলাম, জানতে পারলাম। পেঁয়াজ আমরা সবাই চিনে থাকি, সবাই খেয়ে থাকি। রান্নার পাশাপাশি পেঁয়াজ আমাদের শরীরের আরও বিভিন্ন সমস্যার যে সমাধান দিতে পারে এটা আমাদের অনেকেরই জানা ছিলনা। পেঁয়াজ খাওয়ার নিয়ম, পেঁয়াজের বিভিন্ন উপকারিতার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৪০টি উপকারিতা, খালি পেটে পেঁয়াজ খাওয়ার উপকারিতা,
চুলের উপকারের জন্য পেয়াজের ব্যাবহার, পেঁয়াজ খাওয়ার অপাকারিতা বা ক্ষতিকর দিক কেমন ইত্যাদি সম্পর্কে আমরা অনেক অজানা তথ্য আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পারলাম। আজকের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন। আর কোন মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url