আলু খাওয়ার নিয়ম-আলু খাওয়ার ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন।
আলু খাওয়ার সঠিক নিয়ম-কানুন এবং আলু খাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ২০ টি উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানিনা। ভাত খাওয়ার মতোই আলু আমাদের প্রতিদিনের খাবার। ধনী-দরিদ্র সকলেরই আলু অনেক পছন্দের একটা খাবার হিসেবে পরিচিত। আলুর আরও অনেক বিষয় জানতে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।
এছাড়া আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে মিষ্টি আলু খাওয়ার নিয়ম, সেদ্ধ আলুর উপকারিতা, কেশর আলু খাওয়ার উপকারিতা, আলু খেলে গ্যাসের সমস্যা হবে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আলু দিয়ে অনেক প্রকারের রান্না করা যায়। যার জন্য আলুকে গৃহস্থের বন্ধু বলা হয়ে থাকে। এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আলুর বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ভূমিকা
শাক-সবজির ঝুড়িতে যদি শুধুমাত্র আলু পড়ে থাকে তাহলেও রান্নার ব্যাপারে কোন চিন্তা থাকেনা। কারণ আলু থাকলে আর কিছু থাকুক আর না থাকুক আলু দিয়েই অনেক ধরণের রান্না করা সম্ভব। সারা পৃথিবীতেই আলু পাওয়া যায় এবং কোন কোন দেশে যেমন আয়ারল্যান্ডে আমাদের দেশের মতোই ভাত রুটির ন্যায় আলু প্রধান খাদ্য হিসেবে পরিচিত।
আলু এসেছে মূলত দক্ষিন আমেরিকা থেকে। সেখান থেকে সারা পৃথিবীতে আলু ছড়িয়ে পরেছে। আলু বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে, আবার বিভিন্ন আলুর স্বাদ বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। একেক আলু একেক রকম ভাবে খাওয়া হয়ে থাকে। তাই আলু খাওয়ার নিয়ম, আলুর গুনাগুন, আলু খাওয়ার উপকারিতা এবং আলু খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের আগে জানতে হবে।
কেননা, এসব বিষয়ে জানা না থাকলে আলুর পরিপূর্ন পুষ্টি উপাদান পাওয়া থেকে আমরা দূরে থাকবো। সুতরাং আলু খাওয়ার সঠিক নিয়ম, উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে আগে আমাদের জানতে হবে।
মিষ্টি আলু খাওয়ার উত্তম নিয়ম
মিষ্টি আলু খাওয়ার উত্তম নিয়ম কি সেটা আমাদের জানতে হবে, কেননা মিষ্টি আলু খেতে আমরা অনেকেই পছন্দ করে থাকি। মিষ্টি আলু কাঁচা খাওয়ার থেকে রান্না করে খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকারী। মিষ্টি আলু ভালোভাবে সেদ্ধ করে খেতে পারলে আলুর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ পুষ্টি উপাদান পেতে সাহায্য করে এবং পাশাপাশি দ্রূত হজম হতেও সাহায্য করে।
মিষ্টি আলুর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে সুগার রয়েছে তাই এই আলু সেদ্ধ করে খেলে রক্তে সুগারের পরিমাণ স্বাভাবিক মতো পৌঁছাতে সাহায্য করে। আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা গোল আলুর সমস্ত পুষ্টি উপাদান মিষ্টি আলুর মধ্যে বিদ্যমান। আর তাই মিষ্ট আলু খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। মিষ্টি আলু সেদ্ধ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত সেদ্ধ বা রান্না করা উচিৎ না এতে আলুর পুষ্টিগুন কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মিষ্টি আলুর সাথে অলিভ ওয়েল, আখরোট, পিক্যান ইত্যাদি জাতীয় খাবারের সাথে মিশিয়ে খেলে আরও পুষ্টি উপাদান বাড়তে সাহায্য করবে। মিষ্টি আলু দিনে খাওয়া উত্তম, কেননা রাতে মিষ্টি আলু খেলে আপনার ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি ডায়রিয়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিয়মিত মিষ্টি আলু খেতে পারলে আপনার হৃদপিন্ড, কিডনি এমনকি আপনার চোখ ভালো রাখতে ব্যাপক সাহায্য করবে।
আলু খাওয়ার ২০টি উপকারিতা
আলু খেতে পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুবই কম রয়েছে। ছোট বড় সবার জন্যই আলু খাওয়া অনেক উপকার এবং অনেক পুষ্টিকর একটা খাবার। আলু যেকোন সবজির সাথে, যেকোন তরকারির সাথে রান্না করে খাওয়া যায়। আলুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যার ফলে শরীরের স্বাভাবিক বল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে,
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, শরীরের হাড়গুলো মজবুত রাখতেও ব্যাপক সাহায্য করে থাকে। আলু খাওয়ার অনেক উপকার রয়েছে, নিম্নে আলু খাওয়ার ২০টি উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হইলোঃ
- আলুর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্বেতসার, সোডিয়াম, পটাসিয়াম রয়েছে যা আমাদের দেহের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে যাদের ব্লাড পেসার হাই থাকে তাদের জন্য নিয়মিত আলু খাওয়া খুবই উপকারী।
- নিয়মিত আলু খাওয়ার ফলে হৃদযন্ত্র বা হৃদপিন্ড স্বাভাবিক সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে থাকে। কারণ, আলুর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি-১২ রয়েছে যা আপনার হৃদপিন্ডকে হার্ট এটাকের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- আলুর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকার ফলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিয়মিত আলু খাওয়ার ফলে যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে এই সমস্যা দূর করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
- যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাহলে বুঝতে হবে তাদের শরীরে ভিটামিন এ এবং এন্টিওক্সিডেন্টের মাত্রা অনেক কম। এমন সমস্যার সমাধানে নিয়মিত আলু খাওয়া জরূরী। কেননা, নিয়মিত আলু খাওয়ার ফলে ভিটামিন এ এবং এন্টিওক্সিডেন্টের পরিমাণ যোগ করতে সাহায্য করে ফলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
- যাদের শরীর হালকা পাতলা, ভালো কিছু খেয়েও শরীর বাড়েনা, যারা একটু মোটা হতে চান তাদের জন্য উত্তম সমাধান হলো নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে আলু খাওয়া দরকার। নিয়মিত আলু খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে অনেক পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
- খোসা ছাড়িয়ে আলু রান্না করলে আলুর খাদ্যগুণ কিছুটা কমে যায়। তাই খোসা সহ আলু রান্না করে খাওয়া বেশি পুষ্টি উপাদান পেতে সাহায্য করে। আলুর খোসায় শরীরের পুষ্টি জোগানোর মতো অনেক খনিজ লবণ বিদ্যমান থাকে।
- খোসা ছাড়ানো আলু আর ভাজা আলু হজম করতেও অনেক সময় লাগে। সেজন্য খোসাসুদ্ধ আলু সেদ্ধ করে কিংবা আগুনে পুড়িয়ে খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
- কিডনিতে পাথর হওয়া একটা মারাত্বক ব্যাধি এবং অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। কিডনিতে পাথর হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী হলো পর্যাপ্ত প্রোটিনযুক্ত খাবারের কারণে। নিয়মিত আলু খাওয়ার ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবনতা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
- আমরা অনেকেই ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম, ফেসপ্যাক, স্নো ইত্যাদি প্রসাধনী ব্যাবহার করে থাকি এবং এগুলো করার জন্য বা ব্যাবহার করার জন্য অনেক টাকা ব্যয় করে থাকি। কিন্ত আমরা অনেকেই জানিনা যে আলুর সাথে মধু মিশিয়ে পেস্ট করে নিয়মিত ব্যাবহার করার ফলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।
- আলু সেদ্ধ করা পানির মধ্যেও অনেক ভিটামিন থেকে যায়। তাই আলু সেদ্ধ করা পানি ফেলে না দিয়ে ডালের মধ্যে কিংবা অন্য কোন তরকারির মধ্যে দিয়ে রান্না করলে অনেক ভিটামিন এবং পুষ্টি পেতে সাহায্য করবে।
- শরীরের কোন যায়গায় পুড়ে গেলে আলু বেটে সেই যায়গায় লাগালে জ্বালা কমে যেতে সাহায্য করবে এবং ফোস্কা পড়া থেকেও নিরাপদে রাখতে সাহায্য করবে।
- নিয়মিত আলু খাওয়ার ফলে বীর্য বৃদ্ধি করেত সাহায্য করবে, শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং স্তন্য বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে থাকে।
- আলুর পাতা বেটে নিয়ে বুকে লাগালে বুকের ব্যাথা সারাতে এবং শুলব্যাথা সারাতেও ব্যাপক সাহায্য করে থাকে।
- কোন কোন বিখ্যাত তত্ত্ববিদের মতে, শুধুমাত্র আলু এবং তার সাথে মাখন বা উদ্ভিজ্জ ্মাখন খেয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব।
- নিয়মিত আলু খাওয়ার ফলে পেটে জ্বালাপোড়ার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। সুতরাং যাদের পেটের জ্বালাপোড়ার সমস্যা রয়েছে তাদের উচিৎ নিয়মিত পরিমাণ মতো আলু খাওয়া।
- আলুর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন 'সি', ভিটামিন 'বি-৬', পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম রয়েছে যার ফলে আমাদের খাদ্য উপাদান গুলো সহজে হজম করতে সাহায্য করে থাকে।
- শুধুমাত্র আলু দিয়ে বিভিন্ন কিছু রান্না করা যায় এবং আলু যেকোন তরকারির সাথেই রান্না করে খাওয়া যায়। তাই আলুর কোন বিকল্প নেই, আলু আমাদের জাতীয় সবজি হিসেবে ব্যাবহৃত হয়ে থাকে।
- ধনী-গরীব সকলেই আলু খেতে পছন্দ করে থাকে এবং দামের দিক দিয়েও সবার নাগালের মধ্যেই থাকে।
- শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য যে পরিমাণ পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন তার প্রায় সব কিছুই আলুর মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে।
- আলুর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রন রাখতে সাহায্য করে থাকে।
সেদ্ধ আলুর উপকারিতা
সেদ্ধ আলুর অনেক গুলি উপকার রয়েছে, যা আমরা অনেকেই জানিনা। সেদ্ধ আলুর উপকারিতা সম্পর্কে যদি আপনার না জানা থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জানতে পারবেন। সেদ্ধ আলুর উপকারিতা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলোঃ
- সেদ্ধ আলু খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে এবং স্বাভাবিক চলাচল করতে সাহায্য করে থাকে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে বা স্বাভাবিক চলাচল করতে যদি আপনার সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আপনার জন্য সঠিক সমাধান হলো নিয়মিত সেদ্ধ আলু খাওয়া।
- যাদের হৃদপিন্ড বা হৃদযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য উত্তম সমাধান হলো সেদ্ধ আলু খাওয়া। নিয়মিত সেদ্ধ আলু খেলে হার্টের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
- সেদ্ধ আলু খাওয়ার ফলে শরীরের স্বাভাবিক চাহিদার প্রায় ৮ শতাংস পূরণ করতে সাহায্য করবে। শরীরে ফাইবারের ঘাটতি দেখা দিলে সেদ্ধ আলু খেলে তা পূরণ করতে সাহায্য করে।
- শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত সেদ্ধ আলু খাওয়া দরকার।
- যাদের ব্রেনের সমস্যা রয়েছে, কোন কিছু খেয়াল রাখতে বা মনে রাখতে পারেনা তাদের উচিৎ নিয়মিত সেদ্ধ আলু খাওয়া। সেদ্ধ আলু খেলে ব্রেনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- আমাদের শরীরের স্বাভাবিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে উপাদান প্রয়োজন তা হলো ভিটামিন সি। আর এই ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করতে সেদ্ধ আলু খাওয়ার কোন বিকল্প নেই।
- নিয়মিত সেদ্ধ আলু খাওয়ার ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে। যারা ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন তাদের জন্য উত্তম এবং সহজলোভ্য উপাদান হলো নিয়মিত সেদ্ধ আলু খাওয়া।
আলু খেলে কি গ্যাস হয়
আমরা অনেকেই মনে করি যে আলু খেলে গ্যাস হয়ে থাকে। যারা এই ধারণার মধ্যে রয়েছে তাদের ভাবনা সঠিক না। তবে যাদের আগে থেকেই গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে আলু খেলে গ্যাসের সমস্যা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। অতিরিক্ত আলু খাওয়ার ফলে, আলু ভাজি কিংবা আলুর ঝোলের তরকারি খাওয়ার ফলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তবে সবচেয়ে ভালো হয় যাদের আগে থেকেই গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য আলু ভাজি কিংবা আলুর তরকারী এমনকি আলু খাওয়া বাদ দেয়া কিংবা আলু কম খাওয়াই উত্তম। আলু খেলেই যে গ্যাস হবে এমন ভাবাটা ঠিক না। যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তাদের যেকোন খাবার-দাবারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ।
কেশর আলু খাওয়ার উপকারিতা
কেশর আলু খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। কেশর আলু কিন্ত রান্না করে খাওয়ার আলু না, এটা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। কেশর আলু পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে কাঁচা খাওয়া হয়। কেশর আলু খুব বেশি মিষ্টি না, তাই ডায়াবেটিসের রোগী সহ সবাই কেশর আলু খেতে পারবেন। তবে কেশর আলু ছোট বড় সবাই খেতে ভালোবাসে।
কেশর আলুর মধ্যে প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংস আমিষ বিদ্যমান থাকে যা আমাদের অনেকেরই অজানা। আমরা যারা মাঠে কাজ করি বা শারিরীক পরিশ্রম করে ক্লান্ত হয়ে যাই তাদের জন্য পুনরায় শরীরে এনার্জি ফিরে আনার জন্য উত্তম ব্যবস্থা হলো কেশর আলু খাওয়া। কেশর আলু খাওয়ার ফলে দেহের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক গতিতে চলতে সাহায্য করে, শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নের জন্য কেশর আলুর ব্যাবহার দারূণ উপকারী। ত্বকের যত্নে কেশর আলু ব্যাবহার করার জন্য কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখা দরকার। তারপর ভিজিয়ে রাখা সেই পানি দিয়ে মুখে মাখাতে হবে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখতে হবে। এমন ভাবে সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার ব্যাবহার করতে পারলে আপনার ত্বকের পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।
আলু খাওয়ার অপকারিতা
আলু খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি অতিরিক্ত আলু খাওয়ার ফলে এর কিছু ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা রয়েছে। আলু খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানা না থাকলে আমরা আলু খাওয়া সম্পর্কে সচেতন হতে পারবোনা। আমরা প্রায় সবাই আমাদের নিয়মিত খাবারের মধ্যে, নিয়মিত সবজির মধ্যে আলুর প্রাধান্যই বেশি দেখা যায়।
আলু খেতে যেমন স্বাদ রয়েছে, তেমনি রয়েছে আলুর পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। অতিরিক্ত আলু খাওয়ার জন্য আমাদের যে ক্ষতি বা অপকার হয়ে থাকে তা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
- আলুর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি উপাদান এবং উপকারিতা রয়েছে সেটা আমরা অনেকেই জানি, কিন্ত অতিরিক্ত আলু খাওয়ার মধ্যে সবথেকে ভয়াবহ এবং ক্ষতিকর যে বিষয় রয়েছে তা হলো ডায়রিয়ার প্রভাব। তাই অতিরিক্ত আলু খাওয়া থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
- আমরা অনেকেই জানি যে, আলুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে শর্করা এবং ইনসুলিন রয়েছে। কিন্ত আমরা এটা অনেকেই জানিনা যে, অতিরিক্ত শর্করা এবং ইনসুলিনের প্রভাব বেশি হওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পর্যাপ্ত আলু খাওয়া থেকে বিশেষ করে ডায়াবেটিস রুগীদের ক্ষেত্রে আলু কম খাওয়াই বেশি ভালো হবে।
- অতিরিক্ত আলু খেলে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে, বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে আলু না খাওয়াই বেশি উত্তম।
- যাদের শরীর আগে থেকেই মোটা এবং সুঠাম দেহের অধিকারী তাদের ক্ষেত্রে আলু না খাওয়াই উত্তম। কেননা বেশি করে আলু খেলে শরীর বাড়তে সাহায্য করে। সুতরাং স্বাস্থ্যবানদের ক্ষেত্রে আলু খাওয়ার দিকে আরও বেশি সতর্ক থাকা উচিৎ।
লেখকের মন্তব্য এবং শেষ কথা
উপোরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা আলু খাওয়ার সঠিক নিয়ম, আলুর গুরুত্বপূর্ণ ২০টি উপকারিতা, সেদ্ধ আলুর উপকারিতা, কেশর আলু খাওয়ার উপকারিতা, আলু খাওয়ার ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলাম। আশা করছি আলুর গুনাগুন এবং আলু খাওয়ার বিষয় সম্পর্কে আজকের এই পোস্টটি পড়ে আমরা অনেক কিছুই শিখতে এবং জানতে পারলাম।
আলু খাওয়ার যে সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আমরা জানলাম সেই নিয়ম করে আলু খেলে আমরা এর পরিপূর্ণ পুষ্টি উপাদান পাবো। আলু খাওয়ার নিয়ম মেনে আলু খেলে আলুর উপকারিতা গুলো আমরা দেখতে পাবো, কিন্ত অনিয়ম বা অতিরিক্ত আলু খেলে এর ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা গুলো আমরা দেখতে পাবো।
সুতরাং আমরা চেষ্টা করবো আজকের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আমরা যে নিয়ম শিখলাম সেভাবে খাওয়ার চেষ্টা করবো। লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন। পোস্ট সম্পর্কে কোন মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url