সজনে পাতার ১০টি গুনাগুন ও সজনে ডাঁটার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।

সজনে পাতার গুনাগুন এবং সজনে ডাঁটার ব্যাপক উপকারিতা রয়েছে যা আমরা অনেকেই জানিনা। তবে সজনে ডাঁটা এবং সজনে পাতার গুনাগুন ও উপকারিতা সম্পর্কে হয়তো আমরা কিছু জানি আর বেশিরভাগ উপকারিতা গুলো আমরা জানিনা। আজকের এই পোস্টটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন তাহলে আপনি অনেক অজানা অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারবেন।
সজনে ডাঁটার উপকারিতা
এছাড়া সজনে ডাঁটার প্রয়োগবিধি, সজনে গাছের ছালের রসের উপকারিতা কি কি, সজনে ফুলের উপকারিতা সম্পর্কেও আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন। এগুলো সম্পর্কে যদি আমরা না জেনে থাকি তাহলে আমরা এগুলোর সঠিক প্রয়োগ এবং সঠিক ব্যাবহার করতে পারবোনা। সুতরাং এগুলো সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য একান্ত জরুরী।

ভূমিকা

সজনে ডাঁটা যাকে আমরা অনেক এলাকায় চলতি বাংলায় খাড়া বলে থাকি। আমাদের আটপৌরে প্রতিদিনের রান্নায় থোড় বড়ি খাড়া আর খাড়াবড়ি থোড় কথাটার ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। কিন্ত বর্তমানে এই তিনটার কোনো উপকরণই গুণের দিক থেকে কম না এবং দামের দিক থেকেও খারাপ না। সাধারণত দুই ধরনের সজনে ডাঁটার কথা আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে। 


একটা লাল আর অপরটি সবুজ। আমাদের এলাকায় বেশিরভাগ সবুজ সজনে বেশি দেখা যায়। তবে লাল সজনে কম দেখা গেলেও এর গুনাগুন কিন্ত কম না। তবে আয়ুর্বেদের মতে, লাল সজনে ডাঁটাকে মহা বীর্যবান এবং রসায়ন গুনসম্পন্ন মহৌষধ বলা হয়ে থাকে। রসায়ন অর্থাৎ সপ্ত ধাতুর (রস, রক্ত, মাংস, মেদ, অস্থি, মজ্জা ও বীর্য) পুষ্টিকারক হিসেবে ব্যাপক কাজ করে থাকে।এমনকি কিডনির সমস্যা কিংবা পিলের সমস্যা দূর করতে সজনে ডাঁটা ব্যাপক কাজ করে থাকে।

সজনে পাতার ১০টি গুনাগুন

  1. সজনে পাতার রস খাওয়ালে শ্বাসকষ্ট দূর করতে সাহায্য করে। যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত সজনে পাতার রস খাওয়ার অভ্যাস করুন।
  2. হেঁচকি সমস্যা দূর করতে সজনে পাতার রস খাওয়া খুবই উপকারী। যাদের হেঁচকি উঠার সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত সজনে পাতার রস খেতে পারেন।
  3. সজনে পাতার রসের সাথে চিনি মিশিয়ে তিনদিন নিয়মিত খেতে পারলে পেটের ভেতরের বায়ুর গোলক দূর করতে সাহায্য করবে।
  4. গ্যাসের সমস্যা দূরীভূত করতে সজনে পাতার রস করে তার সাথে হিং এবং শুকনো আদার গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। তাহলে গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  5. সজনে পাতার রসের সাথে লবণ, গোলমরিচ ও পিপুল গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারলে পিলে বেড়ে যাওয়া কমাতে সাহায্য করবে। অনেক বাচ্চার পিলে বেড়ে যেতে দেখা যায়। তাদেরকে নিয়ম করে খাওয়াতে হবে।
  6. বায়ুর প্রকোপের জন্য যদি কারোও ব্যাথা অনুভূত হয় তাহলে সজনে পাতার রস খেতে হবে।
  7. সজনের পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারলে পেটের সূক্ষ্ম কৃমি দূর করতে সাহায্য করে।
  8. সজনে পাতার রস করে মাথায় ঘষলে খুসকি দূর করতে সাহায্য করবে।
  9. সজনে পাতার রসের গোলমরিচ পিষে নিয়ে কপালে লাগালে মাথার যন্ত্রণা দূর করতে সাহায্য করবে।
  10. শুকনো মরিচ, পেয়াজ ও রসুন দিয়ে অর্থাৎ রুচিশীল করে সজনে পাতার শাক ভাজা খেলে চোখের জন্য দারূণ উপকারী।
  11. সজনে পাতার রস করে মুখে লাগালে মুখের ব্রণ দূর করতে ব্যাপক সাহায্য করে থাকে।

সজনের ছালের গুনাগুন ও উপকারিতা

সজনে পাতা কিংবা সজনে ডাঁটার ন্যায় সজনের ছালেরও অনেক গুনাগুন ও উপকারিতা রয়েছে। আমরা যদি এ সম্পর্কে না জেনে থাকি তাহলে এই পোস্টের লেখা পড়ে আপনি জানতে পারবেন।
নিম্নে সজনের ছালের গুনাগুন সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
  • সজনের ছালের উষ্ণ রস করে লাগালে অর্শ্বের ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করবে।
  • সজনের ছালের রসের সাথে মধু এবং যবক্ষার (যব থেকে তৈরী নিষ্কাশিত লবণ) মিশিয়ে খাওয়াইতে পারলে কাশির জন্য অনেকের যে শুলব্যাথা হয় তা সেরে যেতে সাহায্য করবে।
  • সজনে গাছের ছালের রসের সাথে লবণ, পিপুল গুঁড়ো, চিত্রক মূল চূর্ণ মিশিয়ে খাওয়ালে পেটে পানি জমে যাওয়া দূর করতে সাহায্য করবে।
  • সজনের মূলের রসের সাথে খাবার সোডা মিশিয়ে খেতে পারলে আপনার কিডনির পাথর ভেঙ্গে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
  • সজনে মূলের রস খেতে পারলে ফোঁড়া তাড়াতাড়ি সেরে যেতে সাহায্য করবে।
  • সজনের ছাল থেঁতো করে পুলটিস তৈরী করে বাঁধলে ফোঁড়া দ্রূত পেকে গিয়ে তাড়াতাড়ি সাড়াতে সাহায্য করে।
  • সজনের বীজের ও গোলমরিচের গুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে শুঁকলে হাঁচি দিয়ে মাথাব্যাথা দূর করতে সাহায্য করবে।
  • সজনের আঠা দাঁতের ফুটোয় লাগালে দাঁতের ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে।
  • সজনের আঠা দুধের সাথে পিষে কপালে লাগালে মাথা ব্যাথা দূর হয়ে যেতে সাহায্য করে।
  • সজনের মূলের রসের সাথে মধু, তেল ও লবণ মিশিয়ে কানে দিলেও কানের ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করবে।

সজনে ডাঁটার উপকারিতা গুলো

সজনে ডাঁটার তরকারী যেমন স্বাদের তেমনি সজনে ডাঁটার অনেক উপকারিতাও বিদ্যমান। সজনে ডাঁটা নানাবিধ সমস্যা সমাধানে ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। সজনে ডাঁটা শরীরে গরমের প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে, হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, খিদে বাড়াতে সাহায্য করে, এমনকি বীর্য বৃদ্ধি করতেও ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। 

সজনে ডাঁটার কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলোঃ

হার্টের সমস্যা দূর করতে সজনে ডাঁটার উপকারিতাঃ বর্তমানে হার্টের সমস্যা একটা মারাত্বক মরণ ব্যাধি হিসেবে বিবেচিত। ছোট বড় প্রায় সব বয়সী মানুষের হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাদের উচিৎ নিয়মিত সজনের ডাঁটা খাওয়া। কেননা নিয়মিত সজনে ডাঁটা খাওয়ার ফলে হার্টের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।


ফোঁড়া ভালো করতে সজনে ডাঁটার উপকারিতাঃ বাইরের ফোঁড়া কিংবা ভেতরের ফোঁড়া হোক না কেন, ছোটদের কিংবা বড়দের ফোঁড়া হোক না কেন যেকোন ফোঁড়া পেকে যেতে বা পুরোপুরি ফোঁড়া ভালো করতে সজনে ডাঁটা ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

কৃমি দূর করতে সজনে ডাঁটার উপকারিতাঃ কৃমির সমস্যা দেখা দিলে খাবারের রুচিবোধ কমে যায়, শরীরের ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে, বিভিন্ন রোগের আগমন ঘটাতে সাহায্য করে। তাই কৃমি দূর করতে আমরা কতকিছুই না খেয়ে থাকি। কিন্ত সহজ সমাধান হলো নিয়মিত সজনে ডাঁটা খাওয়া, তাহলে কৃমি দূর করতে এই সজনে ডাঁটা ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে।

কুষ্ঠ ও ক্ষয়রোগে সজনে ডাঁটার উপকারিতাঃ কুষ্ঠ রোগী এবং ক্ষয়রোগীদের জন্য একটা সহজ এবং কার্যকরী সমাধান হলো নিয়মিত সজনে ডাঁটা খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। কেননা সজনে ডাঁটা অন্যান্য রোগের ন্যায় কুষ্ঠ এবং ক্ষয়রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে।

শ্বাসরগের সমাধানে সজনে ডাঁটার ভূমিকাঃ শুর্ণ ও শ্বাসরোগের সমস্যায় অধিকাংস মানুষই আক্রান্ত। এই শ্বাসকষ্ট জনিত কারনে আরও বড় বড় জটিল রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই যাদের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের নিয়মিত সজনে ডাঁটা খাওয়া আবশ্যক।

পিলের সমস্যা দূর করতে সজনে ডাঁটার ভূমিকাঃ পিলের সমস্যা বা পিলের অসুখ যাদের রয়েছে তাদের স্বাভাবিক চলাচল নষ্ট হয়ে যায়, ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে। তাদের রক্ত খেয়ে ফেলে যার দরূণ নিয়মিত রক্ত দিতে হয় তাদের। পিলের সমস্যা দূর করতে সজনে ডাঁটা উপকারী ঔষধ হিসেবে কাজ করে।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সজনে ডাঁটার উপকারিতাঃ যাদের হজম শক্তি কম, যারা রুচি সহকারে ভালো কিছু খেতে পারেনা তাদের উচিৎ নিয়মিত সজনে ডাঁটা খাওয়া জরুরী। কেননা, নিয়মিত সজনে ডাঁটা খাওয়ার ফলে হজম তাড়াতাড়ি হতে সাহায্য করে।

বীর্য বৃদ্ধি করতে সজনে ডাঁটার উপকারিতাঃ সজনে ডাঁটার বিভিন্ন উপকারের মধ্যে এইটা অনেক বেশি উপকারী এবং কার্যকরী। কেননা, নিয়মিত সজনে ডাঁটা খাওয়ার ফলে বীর্য বাড়তে থাকে যা আপনার জন্য অনেক উপকারী।

এগুলো ছাড়াও সজনে ডাঁটা আয়ুর্বেদের মতে, শরীরে গরম প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে থাকে, খিদে বাড়াতে সাহায্য করে, মল রোধ করে অর্থাৎ পেটের অসুখে অনেক উপকারী।

সজনে ডাঁটায় ক্ষার গুণ রয়েছে এবং লবণ রয়েছে। বাত ব্যাথা সাড়াতে ও শ্লেষ্মা সারাতে সাহায্য করে থাকে, মুখের জড়তা দূর করতেও সাহায্য করে।
সব ধরণের ব্যাথা-বেদনা, কাশি, নাক-মুখ থেকে রক্ত পড়া প্রভূতি সমস্যা দূর করতে ব্যাপক সাহায্য করে থাকে।

সজনে ডাঁটার ব্যাবহার ও প্রয়োগবিধি  

সজনে ডাঁটার প্রয়োগবিধি বা এর নানাবিধ ব্যাবহার ্রয়েছে। সজনে ডাঁটার তরকারী যেমন স্বাদের তেমনি এর প্রয়োগ নানান সমস্যার সমাধান হিসেবেও ব্যাপক কার্যকরী। সজনে ডাঁটার প্রয়োগবিধি এবং এর ব্যাবহার সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

১। বেসন গোলা দিয়ে সজনে ডাঁটার তরকারীঃ সজনে ডাঁটা কেটে ভালোভাবে সেদ্ধ করে সর্ষে ফোড়ন দিয়ে ছেড়ে দিন। একটু বেসনের গোলা, লবণ, হলুদ ও পরিমাণ মতো মরিচের গূড়া দিতে হবে। দেখবেন নতুন এই তরকারী খেতে বেশ ভালো লাগবে। এর সাথে খিদে বাড়বে, বাত-ব্যাধিও সারবে এমনকি শরীরের ফোলাও কমে যাবে।

২। সজনে ডাঁটার কড়হিঃ সজনে ডাঁটা ভালো করে সেদ্ধ করে তেলে কাড়িপাতা হিং, সরিষা, শুকনো মরিচ ফোড়ন দিতে হবে। অল্প টক দই, বেসন ও হলুদ একসাথে অল্প পানি দিয়ে গলিয়ে রাখতে হবে। লবণ ও মিষ্টি দিতে হবে পরিমাণ মতো। গরম তেলে সজনে ডাঁটা নেড়েচেড়ে নিয়ে এই দই বেসনে ঢেলে দিতে হবে। ফুলে উঠার সাথে সাথে নামিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে। এটা খেতেও যেমন ভালো লাগবে তেমনি পিলে বেড়ে যাওয়া বন্ধ করে দিবে এবং কিডনির অসুখেও অনেক উপকার পাওয়া যাবে।

৩। সজনে গাছের ছালের রসের উপকারিতাঃ সজনে গাছের মূল থেকে বা গা থেকে ছাল বের করে নিয়ে পানিতে সেদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে রস বের করে নিতে হবে। শরীরের কোন যায়গায় ফুলে উঠলে বা কিডনির প্রদাহে ( প্রস্রাব করতে জ্বালা করলে ), কিডনিতে পাথর হলে এই রস খেলে দারূণ উপকার পাওয়া যাবে। এই রস প্রলেপ লাগালে বা সেঁক দিলে শরিরের ফুলা কমে যাবে।

৪। সজনে ফুলের ছেঁচকিঃ সজনে ফুলের কথা বাঙ্গালী সব বাড়ির গৃহীণিরই অজানা নেই। অল্প তেলে পাঁচফোড়ন দিয়ে এবং সাথে লবণ, হলুদ দিয়ে সজনে ফুলের ছেঁচকি রান্না করলে খেতেও ভালো লাগবে, পাশাপাশি অনেক উপকারও পাওয়া যাবে। 

এই ফুল একটু তেঁতো এবং কটু স্বাদের। শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহয্য করে। স্নায়বিক উত্তেজনা কমিয়ে দেয়। ফোঁড়া ভালো করতে সাহায্য করে, পিলের অসুখ দূর করতে সাহায্য করে, বাত ব্যাথা দূর করতে সজনে ফুল ঔষধ হিসেবে কাজ করে ।

৫। সজনে পাতার রস ও সজনে ছালের রসের ভূমিকাঃ এই দুই ধরনের রসেই আছে বিভিন্ন রোগ সারানোর গুণ। এই রস নিয়ম করে খেতে পারলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম করিয়ে দিয়ে মল শুদ্ধি করতে সাহায্য করে। হার্ট এবং কিডনির জন্যেও অনেক উপকারী।

৬। সজনে ডাঁটার বীজঃ সজনে ডাঁটার বীজ সেদ্ধ করে বা কাঁচাই বেটে খেতে পারলে চোখের জন্য খুবই উপকার। এই বীজ কফ, বায়ু ও বিষ নাশ করতে সাহায্য করে।

সজনে ফুলের কার্যকারিতা

সজনে ডাঁটা, সজনে পাতার রস, সজনে গাছের ছালের ন্যায় সজনে ফুলের ব্যাপক উপকার এবং কার্যকারিতা রয়েছে। এগুলো সম্পর্কে না জেনে থাকলে অবশ্যই লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। কেননা, আমাদের আশেপাশের এমন অনেক কিছুই রয়েছে যা আমরা ব্যাবহার করি, খেয়ে থাকে কিন্ত তার গুনাগুন সম্পর্কে না জানার ফলে এর সঠিক প্রয়োগ বা সঠিক ব্যাবহার করতে আমরা পারছিনা। 


সজনে ফুলের নানাবিধ উপকারের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো--শরীরের উষ্ণতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, কফ ও বায়ু নাশ করতে সাহায্য করে, কৃমি ও পিলের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে, পেটে বায়ুর গোলকের সৃষ্টি হলে তাও উপশম করতে সাহায্য করে থাকে। অনেকের মতে, সজনে ফুল হাম ও বসন্তের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে থাকে। সেজন্য বসন্তকালে সজনে ফুল খেলে এই সমস্ত অসুখের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

শেষ কথা ও লেখকের মন্তব্য

আমরা উপোরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে সজনে পাতার ১০ টি গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পারলাম। আরও জানতে পারলাম সজনে ডাঁটার যে উপকারিতা রয়েছে সে সম্পর্কেও। সজনে পাতার শাক আমরা অনেকেই খেয়ে থাকি কিন্ত আমরা অনেকেই জানিনা এর কত গুনাগুন বা উপকারিতা রয়েছে। সজনে গাছের ছাল, সজনে পাতার রসেও রয়েছে নানান রোগের সমাধান। 

সজনে ডাঁটাকে মহা বীর্যবান এবং রসায়ন গুনস্মপন্ন বলা হয়ে থাকে। আয়ুর্বেদের মতে, সজনে ডাঁটা শরীরে গরম প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, শ্বাসকষ্ট এবং হার্টের মতো মারাত্বক মরণ ব্যাধির উপকার হিসেবেও কাজ করে থাকে। 

সজনে ছালের শাঁস অখিদে, বদহজম, গ্যাস ও পেটের মল নিষ্কাশনের জন্য সজনে পাতার রস খাওয়া উত্তম সমাধান। উদররোগ বা পেটের অসুখ আরম্ভ হওয়ার সাথে সাথেই পুনর্ববা, চিরতা ও শুকনো আদার গুঁড়ার সাথে সজনে পাতার রস খাওয়ালে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এগুলি কবিরাজি দোকানে পাওয়া যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url