শাক-সবজি খাওয়ার গুনাগুন ও কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।

শাক-সবজি খাওয়ার গুনাগুন ও কার্যকারিতা সম্পর্কে আমাদের সবারই কম বেশি জ্ঞান রয়েছে। তবে গ্রামের তুলনায় শহরের মানুষ শা-সবজির কার্যকারিতা সম্পর্কে একটু কম জানে। কেননা, শহরের মানুষ শাক-সবজি খেলেও তারা সব শাক সম্পর্কে জানেনা। শাক-সবজি তারা চোখে দেখে কিনে খেতে হয়তো পছন্দ করতে পারে, কিন্ত এই শাক-সবজি কিভাবে, কোথায় জন্মায় এগুলো সম্পর্কে তাদের ধারণা খুবই কম।
শাক-সবজি খাওয়ার গুনাগুন ও কার্যকারিতা
শাক দামের দিক দিয়ে একটু সস্তা হলেও এটাকে হেলাফেলা করা মোটেও উচিৎ না। কোন শাকে কি গুনাগুন রয়েছে, কোন শাকের স্বাদ কেমন, কোন শাকের কার্যকারিতা কেমন এই সম্পর্কে যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এই পোষ্টটি পড়ে আপনি জানতে পারবেন। তাই লেখাটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইলো।

ভূমিকা

কথায় আছে, 'শাকে বৃদ্ধি মল' অর্থাৎ শাক খেলে মল বাড়ে, পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। শাক একটু দামে সস্তা এবং সহজে পাওয়া যায় বলে এটাকে হেয়ালিপনা করা একদমই ঠিক না। শাকের মধ্যে অনেক গুনাগুন রয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন শাকের ভিন্ন ভিন্ন রকম। বৈদ্য শাস্ত্রে, একেক শাকের একেক রকম গুনাগুন রয়েছে এবং এগুলো বিষদভাবে বর্ণ্না করা হয়েছে। 


সব গুলো শাকের মধ্যে দুটি শাক সুষনি থানকুনিকে রসায়ন শ্রেনীর অন্তরভুক্ত করা হয়েছে। রসায়ন অর্থে, শরীরে সপ্তধাতু--রস, রক্ত, মাংস, মেদ, মজ্জা, অস্থি ও বীর্যের পোষক হিসেবে ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

কলমি শাকের গুনাগুন ও কার্যকারিতা

কলমি শাক আমরা অনেকেই খেতে দারূণ পছন্দ করে থাকি। কিন্ত কলমি শাকের গুনাগুন ও কার্যকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। কলমি শাকের গুনাগুন ও কার্যকারিতা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হইলোঃ
  • কলমি শাক শুক্রাণু ও স্তন্যবর্ধক, মুখে রুচি বাড়াতে ব্যাপক সাহায্য করে থাকে।
  • কলমি শাক কফ সৃষ্টি করতে, রক্ত পরিষ্কার করতে, যৌনব্যাধিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • কলমি শাকের ডাঁটা ও পাতার রস ( প্রায় ১ টেবিল চামচ ) পরিমাণে খাওয়ালে শরীর থেকে বিষের অনিষ্ট দূর করতে সাহায্য করে।
  • কলমি শাক ফোঁড়া পাকাতেও ব্যাপক কার্যকরী।
  • বসন্তের বা পানি বসন্তের গুটি বেরোনোর সময় খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
  • মাথার রোগে (মস্তিষ্ক বিকৃতিতে) হিস্টিরিয়ায় অনেক উপকারী।
  • শরীর ঠান্ডা রাখতে এবং পেট গরম দূর করে পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

কলমি শাক খাওয়ার নিয়ম

কলমি শাক খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে যা আমাদের জেনে রাখা দরকার। কলমি শাক খাওয়ার নিয়ম গুলি নিচে আলোচনা করা হইলোঃ

কলমি শাক ভেজে ভাতের সাথে অর্থাৎ সেদ্ধ করে সরিষার তেলে মেখে ও আলু, বেগু্‌ কুমড়ো বড়ি দিয়ে তরকারি রান্না করে খাওয়া হয়ে থাকে। রাধুনী বাটা ও তার সাথে বেগুন, কাঁচকলা কুমড়ি দিয়ে কলমি শাকের ও ডাঁটার ঝোল শরীরের পক্ষে অনেক উপকারী। অনেকে কাঁচা মরিচ ও কালোজিরে ফোড়ন দিয়ে থাকে। 


গ্রামাঞ্চলে চাল বাটা দিয়ে তরকারির ঝোল ঘন করা হয়। আবার অনেকে পাতলা ঝোল খেতে পছন্দ করে। হিন্দিতে এই শাককে বলা হয় কুলফা। মায়ের বুকের দুধ কম হলে সকালে ও বিকালে দুবার করে চার চামচ কলমি শাকের রস ঘিয়ে সাঁতলে নিয়ে খেতে পারলে অনেক উপকারী। এতে করে স্তনের দুধ বৃদ্ধি পেতে থাকবে। 

যে বাচ্চা কোষ্ঠবদ্ধতায় ভুগছে এবং সেই কারণে রাত্রে ভালো করে ঘুমাতে পারে না, সারারাত কান্না করে এবং ঘ্যান ঘ্যান করে সেসব বাচ্চাদের রাত্রে অল্প গরম দুধের সাথে কয়েক ফোঁটা কলমি শাকের রস মিশিয়ে খাওয়ালে এ সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। কোষ্ঠ পরিষ্কার হয়ে যাবে যার ফলে বাচ্চা স্বস্তি পেয়ে রাত্রে ভালোভাবে ঘুমাবে।

গিমে শাকের উপকারিতা

আয়ুর্বেদের মতে, গিমে শাক জন্ডিস রোগের জন্য অনেক উপকারী, জ্বর সারাতে সাহায্য করে, লিভারের অসুখ সারাতে সাহায্য করে, এমনকি পিত্ত ও কফ রোগের জন্য অনেক উপকারী। খাবারে রুচি আনতে সাহায্য করে। বেগুন ও আলু দিয়ে চচ্চড়ি, বেসন বা ডাল বাটা দিয়ে এই শাকের বড়া খেতে দারুণ স্বাদের। তাই মাঝেমাঝে গিমে শাক খাওয়া দরকার।

পুঁই শাকের উপকারিতা

পুঁই শাকের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। আমরা অনেকেই পুঁই শাক খেতে পছন্দ করে থাকি। আয়ুর্বেদের মতে, পুঁই শাক খেলে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে, স্নিগ্ধ করতে সাহায্য করে, গুরুপাক করতে সাহায্য করে, মল পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, মেদ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, খাবার তারাতারি হজম করতে সাহায্য করে, 


শরীরের আলস্য ভাব দূর করতে ব্যাপক সাহায্য করে থাকে। পুঁই শাক নালচে ভাব অর্থাৎ অনেকটা পিচ্ছিল। শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, পুষ্টি উপাদান বাড়াতে সাহায্য করে, শুক্রাণু বৃদ্ধি করতেও দারূণ কার্যকরী। পুঁই শাক খেলে ঘুম বেশি হয়, বাতপিত্ত নাশ করে, শরীরে শ্লেষ্মা সৃষ্টি করতে সাহায্য করে।

লাল শাকের উপকারিতা

শাকের মধ্যে লাল শাক বেশি দেখা যায় এবং এই লাল শাক খাওয়া আমরা প্রায় সবাই পছন্দ করে থাকি। লাল শাকে পুষ্টি উপাদান বেশি পাওয়া যায়। লাল শাক খেতেও অনেক উপকারী এবং দামেও অনেক সস্তা। যারা দিন মজুর, ভালো কিছু কিনে খাওয়ার সামর্থ থাকেনা তাদের জন্য শাক খাওয়া অনেক উপকারী। 


লাল শাকের সাথে মশুর ডাল দিয়ে খেলে অনেক তৃপ্তি সহকারে খাওয়া যায়। লাল শাকের মধ্যে ক্ষার বা লবণের গুনাগুন রয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি হজম না হলেও ঘুব গুরুপাকও নয়। অর্থাৎ অল্প গুরুপাক, মল ও প্রস্রাব নিঃসারন করতে সাহায্য করে, কফ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। নিয়মিত তাই লাল শাক আমাদের দরকার।

বেতো বা বইতির শাকের উপকারিতা

বেতো শাক আমরা অনেকেই চিনি আবার অনেকেই চিনিনা। বেতো শাক খাওয়া অনেক উপকার। আয়ুর্বেদের মতে, খাবার তাড়াতাড়ি হজম করতে সাহায্য করে, খিদে বাড়াতে সাহায্য করে, হালকা অর্থাৎ লগু, শুক্র ও মল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, মল নিষ্কাশন করতে সাহায্য করে, লিভারের অসুক সারাতে সাহায্য করে, 


রক্তপিত্ত ( নাক-মুখ থেকে রক্ত পড়া ), কৃমি, অর্শ, পিত্ত ও কফ অর্থাৎ ত্রিদোশ নাশ করতে সাহায্য করে। বেতো শাককে হিন্দিতে বলা হয় 'বাথুয়া'। টক দই, বিট লবণ, জিরে ভাজা, রাই, সরিষার গুঁড়া দিয়ে এই শাকের রায়তা খেতে অবাঙিলারা খেতে খুবই ভালোবাসেন।

থানকুনি পাতার উপকারিতা

থানকুনি পাতাকে আয়ুর্বেদে রসায়ন বলা হয়ে থাকে। কারণ এতে আছে শরীরের সপ্তধাতুর ( রস, রক্ত, মেদ, মজ্জা, মাংস, অস্থি ও বীর্য ) পুষ্টির পরিপূর্ণ গুনাগুন। আয়ুর্বেদের মতে, শীতল লঘুপাক যা সহজে হজম হয়, সারক ( মল নিঃসারন ) করে, নিয়মিত থানকুনি পাতা খেতে পারলে সুস্বাস্থ্য জীবন লাভ করা যায়। কাশি, অর্শ, লিভারের অসুখ, প্রস্রাবের সমস্যা, গোদ, গলগন্ড, জনডিস, 

কৃমি এমনকি যৌন রোগের জন্য ব্যাপক উপকারী। থানকুনি পাতার প্রলেপ লাগালে কুষ্ঠ, যৌনব্যাধি, নালী ঘা ও চর্মরোগ সারাতে ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করে। পেটের অসুখে ও আমাশায় থানকুনি পাতার রস ও থানকুনি পাতার ঝোল খাওয়ার যে উপকার রয়েছে তা আমাদের প্রায় সবারই জানা।

সুষনি শাকের গুনাগুন ও কার্যকারিতা

সুষনি শাককেও আয়ুর্বেদে রসায়ন বলা হয়ে থাকে। কেননা, এই শাকেও রয়েছে শরীরের সপ্তধাতুর পুষ্টির গুনাবলি। শস্ত্র মতে, এই শাককে বলা হয়ে থাকে নিদ্রাজনক, এই শাক খেলে খুব ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে, অনিদ্রায় সুষনি শাক বেশ কার্যকরী, অগ্নিদীপক অর্থাৎ খিদে বাড়াতে সাহায্য করে, মেধাজনক বা মেধা বাড়াতে সাহায্য করে। 


সুষনি শাক খেতেও বেশ মিষ্টি। সুষনি শাক ভাজা নিয়মিত খেতে পারলে আপনার মাথাও ঠান্ডা থাকবে এবং রাতে খুব ভালো ঘুম হতেও সাহায্য করবে। এছাড়াও সুষনি শাক খাওয়ার ফলে বেশ কয়েকটি রোগের বা অসুখ সারাতে সাহায্য করে থাকে।
  • যারা হাঁপানিতে কষ্ট পাচ্ছেন তারা নিয়মিত পাঁচ চা চামচ সুষনি শাকের রস হালকা গরম করে সন্ধ্যাবেলায় খেতে পারলে উক্ত রোগের প্রকোপ কমতে সাহায্য করবে।
  • যেসব ছেলে-মেয়েরা লেখা পড়ায় একটু পিছিয়ে আছে যারা ঠিকমতো পড়া ব্রেনে ধরে রাখতে পারেনা বা মনে রাখতে পারেনা অর্থাৎ বাংলা কথায় মাথা মোটা বলা হয়ে থাকে তাদের নিয়ম করে চারমাস ধরে ভাতের সাথে সুষনি শাক সেদ্ধ করে খাওয়ালে মেধা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে এবং পড়াশোনায় তারা আর পিছিয়ে থাকবেনা।
  • যাদের ঠিক ভাবে ঘুম হয়না তারা এই শাকের কার্যকারিতা সম্পর্কে আগে থেকেই জানার কথা। এই শাক খেলে ঘুম আসে বলে গ্রামাঞ্চলে অনেকে এই শাককে ঘুম শাকও বলে থাকেন। যদি কোন রকমের দুশ্চিন্তার জন্যে বা অন্য কোন শারিরীক বা মানসিক কারণে রাতে ঠিক মতো ঘুম না হলে তিন থেকে চার চা চামচ সুষনি শাক পরিমাণ মতো পানিতে সেদ্ধ করে নিতে হবে। ফুটে ফুটে যখন চার টেবিল চামচ মতো পানি অবশিষ্ট থাকবে সেই পানিটা ছেঁকে নিয়ে অল্প পরিমাণ দুধ মিশিয়ে প্রতিদিন সন্ধাবেলা নিয়মিত খেলেই ঘুম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

গাঁদাল বা গন্ধভাদুলি পাতার উপকারিতা

গাঁদাল বা গন্ধভাদুলির পাতা উষ্ণবীর্য অর্থাৎ শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে থাকে, সারক বা মল নিঃসারন করতে সাহায্য করে, শরীরে বল বৃদ্ধি করতে ও শুক্র বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, বেদেনা দূর করতে সাহায্য করে, এছাড়া অর্শ, কফ ও কুষ্ঠ রোগের জন্য ব্যাপক উপকার করে থাকে। 

আমাদের বাঙালী বাড়িতে দেখা যায় পেটের অসুখ হলে গাঁদাল বা গন্ধভাদুলীর পাতার ঝোলের সাথে খাওয়ানো হয়ে থাকে। কাঁচা গাঁদাল বা গন্ধভাদুলীর পাতা বাটাও ভাতের সাথে মেখে খেতে পারলে আপনার পেটের অসুখ সারাতে ব্যাপক কার্যকরী। 

আবার অনেকে স্বাদের জন্য গাঁদাল বা গন্ধভাদুলী পাতা ডালের সাথে বেটে বড়া ভেজে খেতে দেখা যায়। আর এই বড়া দিয়ে ভাত খেলে একদম পেট ভর্তি করে খাওয়া যায়, অনেকেই এভাবে খেতে দারূণ পছন্দ করে থাকে। বিশেষ করে ঠান্ডা আবহাওয়ায় কিংবা বৃষ্টির দিনে এভাবে খেতে বেশি দেখা যায়।

মেথি শাকের গুনাগুন ও কার্যকারিতা

শাকের মধ্যে মেথি শাকেরও অনেক গুনাগুন ও কার্যকারিতা রয়েছে। মেথি শাক সাধারণত শীতকালে পাওয়া যায়। শরীর ঠান্ডা রাখতে মেথি শাকের তুলনা হয়না। বেগুন দিয়ে মেথি শাকের ছেঁচকি, মেথির শাক ও আটা দিয়ে তৈরী করা পরেটা, মেথি শাকের ডাঁটার চচ্চড়ি, বড়ি, আলু ও শিম দিয়ে তৈরী খাবার খুবই মজাদার এবং মুখে ব্যাপক রুচি আনতে সাহায্য করে। 

ঈষত তিক্ত স্বাদের এই মেথি শাক বাঙালী ছাড়াও অবাঙালীদেরও খুবই প্রিয় এবং অনেক পছন্দের একটা খাবার। ভারতের গুজরাটিরা মেথি শাকের মুঠিয়া খেতে দারূণ পছন্দ করে থাকে।

শাক খাওয়ার অপকারিতা বা ক্ষতিকর

আমরা সবাই জানি শাক-সবজি খাওয়া শরীরের জন্য কতটা পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা উপকারী। শরিরের স্বাভাবিক শক্তি বজায় রাখার জন্য শাক খাওয়ার উপকারিতা অপরিশীম। তবে কথায় আছে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো কোন ফলাফল নিয়ে আসতে পারেনা। অতিরিক্ত শাক খেলে যাদের গ্যাসের সমস্যা তাদের জন্য আরও বেশি ক্ষতির কারন হতে পারে। 

তাই যাদের গ্যাস্টিকের সমস্যা রয়েছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে শাক খাওয়া উচিৎ। কিছু কিছু শাক-সবজি রয়েছে যেগুলোর সাথে অন্যান্য অনেক অসুখ বা সমস্যা জরিত। যেমন, যাদের পেটের অসুখ রয়েছে বা আমাশা হয়েছে কিংবা শরীর ফুলে উঠলে বা শোথরোগ হলে এমনকি বাত ব্যাথা থাকলে পুঁই শাক খাওয়া মোটেও উচিৎ হবেনা। 

পুঁই শাকের সাথে তিল খাওয়া বা তিলের তেলে পুঁই শাক রান্না করে খেলেও শরীরের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর। তাই সময় বুঝে এবং নিয়ম জেনে খাওয়া দরকার।

শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য

উপোরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা শাক-সবজি খাওয়ার গুনাগুন এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। আমরা সবাই জানি বিভিন্ন শাকের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ, ভিন্ন ভিন্ন গুনাগুন এবং ভিন্ন ভিন্ন কার্যকারিতা রয়েছে। বেশি বেশি শাক খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে তাহলে শরীরের স্বাভাবিক শক্তি বজায় থাকবে। 

বিশেষ করে যারা অনেক পরিশ্রম করে, মাঠে কাজ করে তাদের জন্য নিয়মিত শাক খাওয়া জরুরী। শাকে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুন থাকে যা খেলে আমাদের শারিরীক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। খেয়াল করে দেখবেন যারা নিয়মিত শাক খায় তাদের শরীরে তেমন অসুখ বা রোগ বালাই হয়না। তাদের খুব একটা ডাক্তারের কাছেও যাওয়া লাগেনা। 

সুতরাং আমরাও যদি নিয়মিত শাক খাওয়ার অভ্যাস করি তাহলে আমাদের শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকবে। লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। লেখাটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে, পরিবারের সাথে শেয়ার করবেন। কোন মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন, সবার আগে আমাদের পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে লাইক, কমেন্ট এবং ফলো দিয়ে রাখবেন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url