গর্ভবতী মহিলাদের কি কি খাওয়া উপকারী ও ক্ষতিকর তা বিস্তারিত জানুন।
গর্ভবতী মহিলাদের যেসব খাওয়া উপকারী এবং সেসব খাবার ক্ষতিকর সে বিষয়ে আমরা অনেকেই জানিনা। গর্ভবতী অবস্থায় খুবই সতর্কতার সাথে, নিয়ম মাফিক চলাফেরা করতে হবে, খাবার-দাবারে নিয়ম মেনে খাওয়া উচিৎ, এমনকি ঘুম, গোসল সব কিছুই গর্ভবতী অবস্থায় নিয়মনীতি অবলম্বন করে চলা উচিৎ।
এছাড়া গর্ভবতী অবস্থায় ৩ মাসের খাদ্য তালিকা কেমন হলে ভালো হবে, ৬ মাসের খাদ্য তালিকা কি কি, ৯ মাসের খাদ্য তালিকা কেমন, গর্ভবতী অবস্থায় কোন আমল করলে সন্তান সৎ হতে পারে ইত্যাদি বিষয়ে এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন। এগুলো জানতে লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।
গর্ভাবস্থায় ১০টি আমল করতে পারলে সন্তান সৎ হতে পারে
নেক সন্তান লাভের জন্য মা-বাবা উভয়কে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে করতে। বর্তমানে দেখা যায় বেশির ভাগ সন্তানেরা বাবা-মায়ের কথা অবাধ্য করে, পিতা-মাতার কথামতো চলেনা, নিজেদের ভালো-মন্দ তারা বোঝার চেষ্টা করেনা। তাই সন্তান বড় হয়ে কোন পথে যাবে, সৎ হবে নাকি অসৎ হবে, ভালো হবে নাকি খারাপ তা নির্ভর করে পিতা-মাতার আমল এবং দোয়ার বদৌলতে।
সুতরাং সন্তান সৎ হওয়ার মায়েদের কিছু আমল রয়েছে যা নিয়মিত করার ফলে সন্তান সৎ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সন্তান পেটে থাকা কালীন বাচ্চার মা যা করবে তাই তার সন্তানের উপর প্রভাব পড়ে। এক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় মহিলাদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে যা মহিলাদের এগুলো সম্পর্কে জেনে আমল করতে হবে। সন্তান সৎ হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ১০ টি আমল সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হইলোঃ
- গর্ভাবস্থায় গুনাহ্ থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
- বেশি করে ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
- সময় মতো গুরুত্ব সহকারে সালাত অর্থাৎ নামায আদায় করতে হবে।
- বেশি বেশি আল্লাহ পাকের জিকির করতে হবে।
- আল্লাহর শোকর আদায় করতে হবে।
- বেশি রাত জাগা থেকে বিরত থাকতে হবে অর্থাৎ তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে।
- সর্ব অবস্থায় ওযু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করতে হবে।
- বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করতে হবে।
- বেশি বেশি দান সদকা করতে হবে।
- আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করতে হবে।
৩ মাসের গর্ভবতী মহিলাদের যে খাবার খাওয়া উচিৎ
গর্ভবতী অবস্থায় মায়েদের অনেক কিছু মেনে চলতে হবে। কেননা এই সময়টুকু খুবই সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হতে হবে। বিশেষ করে খাবার-দাবার, ঘুম, গোসল সব কিছুই নিয়ম মাফিক চালিয়ে যেতে হবে। প্রথম ৩ মাসে খাবারের দিক দিয়ে পুষ্টিকর এবং ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খেতে হবে। এতে করে নিজের শারিরীক সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে পাশাপাশি,
আগত সন্তানের জন্য পুষ্টিকর অবস্থা বিরাজ করতে সাহায্য করবে। ৩ মাসের গর্ভবতী মহিলাদের খাদ্য তালিকায় বেশি বেশি ক্যালসিয়াম যুক্ত যে খাবার গুলি খেতে হবে তার মধ্যে অন্যতম হলো--নিয়মিত দুধ খেতে হবে, দুধ জাতীয় খাবারের মধ্যে দই, পনির খেতে হবে, এছাড়া ব্রকলি, বাধাকপি, ঢেঁড়স, ছোট ছোট মাছ, টাটকা পালং শাক, সিয়াসিড,
নিয়মিত সকালে বা রাতে ডিম খেতে হবে, তিলের ভর্তা খেতে হবে, রক্ত স্বল্পতা থেকে নিরাপদে থাকতে নিয়মিত সকালে এবং রাতে কিসমিস খেতে হবে, পাশাপাশি নিয়মিত ৩/৪ টা করে খেজুর খাওয়া বেশ জরুরী। এমনকি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত সকালে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রোদে থেকে ভিটামিন 'ডি' এর ঘাটতি পূরণ করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করবে।
৬ মাসের গর্ভবতী মহিলাদের যে খাবার খাওয়া উচিৎ
৬ মাসের গর্ভবতী মহিলাদের খাবারের দিক থেকে খুবই সাবধানতা এবং নিয়ম কানুন মেনে চলা জরুরী। ৬ মাসের গর্ভবতী মায়েদের খাবার এবং চলাফেরার প্রভাব আগত শিশুর উপর প্রতিফলন ঘটাতে সাহায্য করে। যদিও এসময় খাবারের দিকে তেমন রুচিবোধ কাজ করেনা। তাই যতটুকুই খাওয়া হোক না কেন অবশ্যই যেন সেই খাবার পুষ্টিকর এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার হয়।
প্রোটীনযুক্ত খাবার যত খাবে বাচ্চার প্রোটিন বাড়তে সাহায্য করবে, বাচ্চার হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করবে, বাচ্চার রক্ত, বাচ্চার পানির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে। প্রোটিন যুক্ত খাবার তালিকায় নিয়মিত দুধ খেতে হবে, সকালে বা রাতে ডিম সেদ্ধ করে খেতে হবে, ছোট ছোট মাছ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে, মাঝে মাঝে মাংস খেতে হবে, পাঁচমেশালী ডাল খাওয়া খুবই উপকারী।
আগত সন্তানের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটানোর জন্য বা মস্তিষ্ক স্বাভাবিক রাখতে সিয়াসিড খাওয়া প্রয়োজন। সামর্থ থাকলে নিয়মিত ফলমূল খাওয়া দরকার, বিশেষ করে সিজনাল ফল খাওয়া বেশি উপকারী। নিয়মিত সবুজ শাক-সবজি খাওয়া দরকার, পুদিনাপাতা খাওয়ার ফলে আয়রন এবং ফলিক এসিড পূরণ করতে সাহায্য করে, এমনকি আগত সন্তানের মস্তিষ্ক বিকাশ রাখতে এবং বাচ্চার বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক সাহায্য করে থাকে।
৯ মাসের গর্ভবতী মহিলাদের উত্তম যে খাবার গুলি
৯ মাসের গর্ভবতী মহিলাদের এই সময়ে খুবই সাবধানতার সাথে চলাফেরা করতে হবে, খাবার-দাবারে সতর্ক থাকতে হবে। এই সময়ে আল্ট্রা করে নেয়া খুবই ভালো, তাহলে বাচ্চার পজিশন বুঝা যাবে, বাচ্চার হার্ট, বাচ্চার পানি, রক্তের পরিমাণ কতটুকু আছে সে বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক থাকা ভালো। যাতে করে বাচ্চা প্রসবের সময় কোন রকম ঝুঁকি না হয় বা খারাপ অবস্থা তৈরি না হয়।
বাচ্চার পজিশন দেখে নরমাল ডেলিভারী কিংবা সিজার করার সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে। বাচ্চার ওজন আগে থেকে জানা থাকলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে। আরে ভালো হয় এই ৯ মাসের সময় গর্ভবতী মহিলাদের জন্য যদি সামর্থ থাকে তাহলে মাদার হরলিক্স খাওয়ানো যেতে পারে। এতে বাচ্চার এবং বাচ্চার মায়ের উভয়ের জন্য অনেক উপকারী।
সুতরাং সতর্কতা অবলম্বন করে, সচেতন থেকে এই ৯ মাসের গর্ভবতী অবস্থায় প্রতিটি মুহুর্ত দেখে শুনে থাকতে হবে, ভারী কোন কাজকর্ম করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
গর্ভাবস্থায় যে খাবারে রক্তের ঘাটতি পূরণ হয়
গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন দিক থেকে সতর্ক থাকতে হবে, তার মধ্যে রক্ত স্বল্পতা একটা মারাত্বক ঝুঁকির কারন হতে পারে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক আছে কিনা তা টেস্ট করে আগে থেকে জেনে রাখা অনেক ভালো। হিমোগ্লোবিনের কাজ হলো শরীরের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে সারা শরীরে পৌঁছে দেয়া।
যদি গর্ভবতী মহিলাদের রক্ত স্বল্পতা দেখা যায় তাহলে মাথা ব্যাথা করতে পারে, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে, শরীরে দূর্বলতা অনুভব হতে পারে, একটু পর পর ক্ষুধা লাগতে পারে ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম হলে নরমাল ডেলিভারি কিংবা সিজার করা দুটাতেই অনেক ঝুঁকি আসতে পারে।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে বেশি বেশি শাকসবজি খাওয়া উচিৎ, ছোট মাছ খেতে পারলে অনেক উপকারী, শুকনো ফল খাওয়া যেতে পারে সামর্থ অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো এবং কম খরচের মধ্যে নিয়মিত কিসমিস খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে। নিয়মিত কিসমিস এবং খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করলে রকত স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করবে, বাচ্চার হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করবে, গর্ভবতী মহিলাদের শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
বাচ্চাদের ওজন বাড়বে যে ৫টি খাবারে
গর্ভবতী অবস্থায় বাচ্চার মা যা খাবে সেই খাবার তার বাচ্চার অবস্থার পরিবর্তনে প্রভাব আনতে সাহায্য করে। তাহলে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন এই সময়ে বাচ্চার মায়ের যত বেশি যত্ন নেয়া যাবে, যত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো যাবে ততোই বাচ্চার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করবে। আগত সন্তানের ওজন বাড়ানোর জন্য বাচ্চার মায়ের পুষ্টিকর খাবার পরিবেশন করতে হবে,
অবশ্যই নিয়মিত খাবারের রুটিন করা থাকতে হবে, খাওয়ার পাশাপাশি বাচ্চার মায়ের স্বাভাবিক ঘুম হওয়া জরুরী। আমরা হয়তো এখনো এই সব বিষয়ে সতর্ক হতে পারিনা, আমাদের এ সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই বললেই চলে। এখনকার মানুষ অনেক আধুনিক, অনেক পরিবর্তন, সুতরাং এই সব বিষয়ে আমাদের আগে থেকেই যেকোন মাধ্যমে জেনে রাখা উচিৎ।
বাচ্চার ওজন বাড়ানোর জন্য বাচ্চার মাকে যে খাবার গুলি খেতে দিবেন তা যেন অবশ্যই পুষ্টিকর, প্রোটিন যুক্ত, ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার হয়ে থাকে। বাচ্চার ওজন বাড়ানোর জন্য নিয়মিত খাবারের মধ্যে দুধ এবং দুধ জাতীয় খাবার খাওয়ানো উচিৎ, যেমন--নিয়মিত ঘি খাওয়ানো যেতে পারে, পনির খাওয়াতে পারেন, পায়েস খাওয়ানো দরকার, পুডিং ইত্যাদি খাবার গুলি বেশি করে খাওয়ানোর চেষ্টা করা উচিৎ।
এছাড়া প্রোটিন বাড়াতে প্রোটিন যুক্ত যে খাবার গুলি খাওয়াবেন তা হলোঃ সকালে বা রাতে সেদ্ধ ডিম খাওয়ানো উচিৎ, বাদাম খাওয়ানো যেতে পারে, শিমের বিচি খেতে পারেন, এমনকি শর্করা জাতীয় খাবারের মধ্যে বেশি বেশি আলু খেতে পারেন, ভাত, রুটি ইত্যাদি খাবার গুলি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
গর্ভবতী মহিলাদের যেসব খাওয়া ক্ষতিকর
গর্ভবতী মহিলাদের এই গর্ভবতী অবস্থায় বেশি বেশি খাবার গ্রহন করতে হবে। তবে মাথায় রাখতে হবে যে খাবারই খান না কেন অবশ্যই যেন সেই খাবার পুষ্টিকর খাবার হয়, ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার হয়, প্রোটিন যুক্ত খাবার হয়ে থাকে। আবার একটা বিষয়ে জেনে রাখা ভালো গর্ভবতী অবস্থায় কিছু কিছু খাবার রয়েছে যা গর্ভবতী অবস্থায় না খাওয়াই ভালো।
কারণ, সব খাবার হুজালে খেতে থাকলে বাচ্চা এবং বাচ্চার মায়ের উভয়ের জন্য ক্ষতির কারন হতে পারে। সুতরাং গর্ভবতী অবস্থায় খাবার বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে জেনে বুঝে খাবার গ্রহন করা উত্তম। এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো আমরা নিয়মিত খেতে পারি কিন্ত গর্ভবতী অবস্থায় না খাওয়া উত্তম।
যে খাবার গর্ভবতী অবস্থায় ক্ষতিকর বা না খাওয়াই উত্তম সেই খাবার গুলী হলোঃ চা কিংবা কফি একজন গর্ভবতী মহিলাদের পরিমাণের বেশি খাওয়া নিজের এবং সন্তানের জন্য ক্ষতির কারন হতে পারে। তাই এ জাতীয় খাবার খেতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া দরকার। পনির বা চিজ খাওয়া শরীরের জন্য বেশ ভালো।
তবে গর্ভবতী মহিলাদের এগুলো খাওয়ার ব্যাপারে নিয়ম জেনে খাওয়া জরূরী। কলিজা খেতে অনেকেই পছন্দ করে, তবে গর্ভবতী অবস্থায় কলিজা কম বা না খাওয়াই উত্তম। এছাড়া অপাস্তরিত দুধ খাওয়া গর্ভবতী মহিলাদের খাওয়ার ব্যাপারে নিষেধ রয়েছে। কাঁচা ডিম সবাই খেতে পারেনা। আবার অনেকেই কাঁচা ডিম খেতে পারে, তবে গর্ভবতী অবস্থায় কাঁচা ডিম খাওয়া ক্ষতিকর।
শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য
আজকের এই পোস্টের আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা জানতে পারলাম গর্ভাবস্থায় মহিলাদের কি কি কাজ করা উচিৎ, কোন সময়ে কি কি খাবার খাওয়া দরকার, বাচ্চার এবং বাচ্চার মায়ের ক্যালসিয়াম, পুষ্টিকর খাবার, প্রোটিন যুক্ত খাবার, রক্ত স্বল্পতা দূর করার খাবার ইত্যাদি বিষয়ে জানতে পেরেছি। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের কোন আমলের কারনে সন্তান বুদ্ধিবৃত্তিক হতে পারে,
বাচ্চা সৎ ও নিষ্ঠাবান হতে পারে, বাচ্চা স্বাভাবিক সুস্থ্য রাখতে যে খাবার খেতে হবে ইত্যাদি বিষয়ে আমরা জানতে পারলাম। গর্ভাবস্থায় ৩ মাসে কোন খাবার গুলি খাওয়া উচিৎ, ৬ মাসের খাদ্য তালিকা কি কি, ৯ মাসের খাবারের তালিকা কোন গুলো ইত্যাদি বিষয়ে আমরা আজকের আলোচনা থেকে জানতে পারলাম।
আজকের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। লেখাটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন। আপনার যেকোন মতামত কমেন্ট করে জানাতে পারবেন, এমন আরও পোস্ট সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো দিয়ে পাশে থাকবেন, ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url