অশ্বগন্ধা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
অশ্বগন্ধা খাওয়ার নিয়ম-কানুন এবং অশ্বগন্ধা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। অশ্বগন্ধা একটি আয়ুর্বেদিক ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে ব্যবহ্রত হয়ে থাকে। ছোট বড় সব বয়সী মানুষের জন্য এই অশ্বগন্ধা দারূণ উপকারী। এই বিষয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, আপনি যদি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়তে পারেন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন।
এছাড়াও অশ্বগন্ধা শ্রমের সময় ক্লান্তি দূর করতে কেমন উপকারী, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যায়, শিশুকালের কার্শ্য রোগের সমাধানে, বুক ধড়ফড়ানীতে কেমন উপকারী ভেসজ হিসেবে ব্যবহ্রত হয়ে থাকে সে বিষয়ে আলোচনা করা রয়েছে।
অশ্বগন্ধার পরিচিতি বা অশ্বগন্ধা দেখতে কেমন
অশ্বগন্ধা খাওয়ার যে ব্যপক উপকারিতা রয়েছে, সেই অশ্বগন্ধা আমরা অনেকেই নাম জানিনা বা চিনিনা। অশ্বগন্ধা ভেসজটি ভারত ও বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গাতেই জন্মে, তবে উষ্ণপ্রধান দেশেই এর বৃদ্ধি বেশি। সাধারণ দেশেও হয়; কিন্ত এর বাড়বাড়ন্ত তত হয়না। অশ্বগন্ধার চাহিদা ব্যবক থাকায় ব্যবসায়িক ভিত্তিতেও চাষাবাদ করতে দেখা যায়।
এটি ক্ষুপ জাতীয় গাছ, ৩/৪ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। এর পাতাগুলি দেখতে অনেকটা অশ্বতর প্রাণীর বা খচ্চরের কানের আকৃতির মত দেখতে হলেও ঝোপ-ঝাড় ও উচ্চতায় এবং কান্ডের গঠনে অনেকটা বেগুন গাছের মতো, পাতা ও ডাঁটার গায়ে সূক্ষ লোম থাকে। ডাঁটার যে অংশে পাতা বেরোয়-সেখানে টেপারির মতো সবুজ মটরের মত ফল হয়।
সেটা পাকলে লাল হয় এবং তার বীজগুলি বেগুনের আকৃতি হয়। এছাড়াও আরেকটি অশ্বগন্ধার ব্যবহার প্রচলিত রয়েছে, যেটি আশগঁদ নামে পরিচিত। নাগরী নামের গুজরাটের একটি অঞ্চলে এটার চাষ হয়। এই গাছটির মূল বৈশিষ্ট হলো এটি আঁশযুক্ত নয়, শ্বেতসার অংশই বেশি দেখা যায়। প্রাচীনকালে এই অশ্বগন্ধার ব্যবহার বেশি প্রচলন দেখা গেছিলো।
শুক্রাণু বৃদ্ধি করতে অশ্বগন্ধা
শিশুকালে অনেকেরই কার্শ্য রোগ দেখা যায়, যা Emaciation নামেও পরিচিত। তার অপুষ্টি লক্ষ্য করা যায়, যখন তার রসবহ স্রোতের ঘাটতি অথবা রক্তবহ স্রোতের স্বাভাবিক ক্রিয়াশিলতার অভাবেই হয়ে থাকে। এই রোগ না হয় ঔষধ খেলে আর পুষ্টিকর খাবার খেলে স্বাস্থ্য ভালো হবে ঠিকই, কিন্ত তার শুক্রবহ স্রোতের হীনবলত্ব থেকেই যাবে।
যখন সে বিবাহ করবে তখন তার ঐ শুক্রাণু ঘাটতির ফলে নানা রকম অসুবিধা দেখা দিতে পারে। সেজন্য তার সঠিক সমাধানের জন্য বা শুক্রাণু বৃদ্ধির জন্য অশ্বাগন্ধামূল চূর্ণ দেড় গ্রাম পরিমাণে প্রতিদিন নিয়মিত সকালে এবং বিকালে আধা কাপ গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে হবে। তাহলে তার শুক্রাণু বৃদ্ধি পাবে এবং বিবাহিত জীবনে তার কোন অসুবিধা হবেনা, ইনশাআল্লাহ।
ক্লান্তি দূর করতে অশ্বগন্ধা
শারীরিক ভাবে সুস্থ্য, তেমন কোন রোগ দেখা যায়না, হজম শক্তিও বেশ ভালো, নিয়মিত পেটও পরিষ্কার হয়, শরীরের অবস্থাও খারাপ না, অথচ তারা অল্প একটু পরিশ্রম করলেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে; তখনই বুঝতে হবে- তার রক্তবহ স্রোতের দূর্বলতা এসেছে, অর্থাৎ অল্প পরিশ্রমেই তার হ্রদযন্ত্রকে অধিক পরিমাণে পরিশ্রম করতে হচ্ছে।
আবার অনেকের ধমনীর স্পন্দন দ্রূত হতে দেখা যায়, ( যেটার পরিচিত নাম, নাড়ী)। এই যে হ্রদযন্ত্রের অত্যধিক পরিচালনা হচ্ছে- এটার কারনেই সে অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্তি অনুভব করছে, তাই এটার সমাধানের জন্য অশ্বগন্ধামূল চূর্ণ দেড় গ্রাম পরিমাণে সকালে এবং বিকালে আধ কাপ বা এক কাপ গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে হবে।
কিছুদিন খাওয়ার পর ঐ মাত্রাটা বাড়িয়ে ৪/৫ গ্রাম করে খেতে হবে। এভাবে কেউ যদি শুরু করে দেড় মাস পর্যন্ত খেতে পারে তাহলে তার আর অল্প পরিশ্রমে ক্লান্তি আসবেনা এবং শরীরে তার পরিপূর্ণ এনার্জি ফিরে আসবে।
অশ্বগন্ধা শ্বাস-প্রশ্বাস ও কাশি দূর করতে
ছোটবেলায় অনেকেই ডিগবিগে চেহারায় ছিল, বয়সের সাথে সাথে চেহারার পরিবর্তন হয়েছে ঠিকই, কিন্ত একটা সমস্যা থেকেই যায়- সেটা হচ্ছে খুব অল্পতেই ঠান্ডা লাগে এবং ঋতু পরিবর্তনের সময় তাদের সর্দি-কাসি লেগে যায়। সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে শৈশবের অপুষ্টির ফলেই এই সমস্যা হয়।
এটার সমাধানে অশ্বগন্ধা মূল চূর্ণ এক গ্রাম থেকে দুই গ্রাম পরিমাণে সকালে ও সন্ধ্যায় অল্প গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত খাওয়ার ফলে দেখবেন শ্বাস-প্রশ্বাস এবং কাশির সমস্যা আর দেখা যাবেনা। আবার আরেক ধরনের শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা হতে দেখা যায়, যার নাম হলো ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস। এটার আয়ুর্বেদিক নাম হচ্ছে তমক-শ্বাস।
এই ধরনের রোগের উপসর্গ হলো- রোগী অনর্গল কেসেই যাচ্ছেন কিন্ত কোন সর্দি ওঠার বালাই নেই। এই ধরনের সমস্যার সমাধানে অশ্বগন্ধার মূল চূর্ণ এক বা দুই গ্রাম পরিমাণে নিয়ে সাথে গাওয়া ঘি এক চা-চামচ ও মধু আধ চা-চামচ মিশিয়ে নিয়মিত সকালে ও বিকালে একবার করে একটু একটু করে চেটে চেটে খেতে হবে।
অশ্বগন্ধা ফোঁড়া ও হাত-পা ফুলে গেলে কি কাজ করে
এই ধরনের ফোড়া রোগের সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। এক্ষেত্রে আবার অনেকেই বলে যে, রক্ত নাকি খারাপ হয়ে গেছে, এমন ভয় দেখায়। তবে তাদের জন্য জেনে রাখা ভালো যে, রক্ত দূষিত হলে কিংবা রক্ত খারাপ হলে আরও জটিল ও কঠিন রোগ দেখা দেবে, যেমন-কুষ্ঠ ও বাতরক্ত। যদি কোন কারণে রক্তবিকৃত হয়ে এই ধরনের ফোড়া হয়েছে-এই বিকারকে সরিয়ে দিলেই ফোড়া ভালো হয়ে যাবে বা ফোড়া আর হবেনা,
সেক্ষেত্রে অশ্বগন্ধা মূল চূর্ণ এক থেকে দেড় গ্রাম পরিমাণে আধা কাপ গরম দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন নিয়মিত সকালে এবং বিকালে দুবার করে খেতে পারলে ঐ রক্তবিকারটি দূর হয়ে যাবে এবং আর ফোড়াও হবেনা। তবে নিয়ম মেনে পরিমাণ মাত্রা সেবন করতে হবে এবং অবশ্যই নিয়মিত খেতে হবে। যেকোন ক্ষেত্রেই নিয়ম মেনে চলতে পারলে কিংবা নিয়ম মেনে খেতে পারলে যেকোন বড় ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে।
অশ্বগন্ধার গাছ-পাতা ও মূল খাওয়ার উপকারিতা
অনেকের শ্বেতকনিকা বা শ্বেত রোগ খুব গভীরে প্রবেশ করেছে, এমনটা বোঝার সহজ উপায় হলো-দাগগুলি যদি দুধের মতো সাদা হয়ে যায় তাহলে এই রোগক্রমণ মাংসবহ স্রোত অব্দি পৌঁছে গেছে, আর দাগগুলো যদি একটু লালচে হয় তাহলে বুঝতে হবে এটা রকবহ স্রোতের এলাকায় পৌঁছে গেছে, আবার যখন দাগগুলো আব্ছা-আব্ছা সাদা হয়,
তাহলে বুঝতে হবে এটা রসবহ স্রোতের এলাকায় পৌঁছে গেছে। এখন এই অবস্থায় অশ্বগন্ধার মূলের কাজ হচ্ছে, যখন এই রসবহ স্রোতের এলাকা পর্যন্ত গেছে তখন এই সমস্যার সমাধানে অশ্বগন্ধার মূল চূর্ণ দেড় বা দুই গ্রাম পরিমাণে প্রতিদিন নিয়মিত সকালে এবং বিকালে গরম দুধের সাথে মিশিয়ে দুইবার করে খেতে হবে।
আর কাঁচা অশ্বগন্ধার গাছ-পাতা ও মূল একসংগে ১০ গ্রাম পরিমাণে নিয়ে একটু থেঁতো করে দুই কাপ পানিতে সিদ্ধ করে সিকি কাপ বা তারও কম থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে ঐ পানিটা সারাদিনে ৩/৪ বার করে দাগগুলিতে ভালো করে লাগিয়ে দিতে হবে। এটা কমপক্ষে তিন মাস নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। যেহেতু দাগ সাদা দুধের মতো হয়ে গেছে,
আর ২/৩ বছর হয়ে গেছে সেটা সেরে যেতে বা দাগ মিলেয়ে যেতে নিতান্তই দুঃস্বাধ্য। পাচীন ঋষিরা এক্ষেত্রে শুরুতেই অর্থাৎ এক বছরের মধ্যেই চিকিতসা করার উপদেশ দিয়েছেন। আবার অনেকেই ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসে দারূণ কিছু করে গেছেন, এই অশ্বগন্ধার মূলকে অন্তধুর্মে পুড়িয়ে ভালোভাবে গুড়িয়ে নিয়ে আধ গ্রাম পরিমাণে সাথে একটু মধু মিশিয়ে খেতে বলেন।
পোড়া দেওয়ার নিয়ম হলো- একটা ছোট মাটির হাড়ির মধ্যে মূলগুলোকে পুড়ে, মাটিতে সাড়া দিয়ে ঢেকে পুনরায় মাটি লেপে শুকিয়ে, ঘুঁটের আগুনে তাপ দিতে হবে। আগুন নিভে গেলে ওটা বের করে ঐ পোড়া অশ্বগন্ধা মুলগুলোকে গুঁড়ো করে নিতে হবে।
অশ্বগন্ধার মূলের রসের উপকারিতা
অনেক শিশুদের দুধ খেলে তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার ফলে শিশু দুধ খেতে কিছুটা ভয় পেতে শুরু করে। আবার এই শ্বাসের কারণে তাদের হার্ট বা হ্রদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে ভয়ের কোন কারণ নেই, অশ্বগন্ধা মূলের রস করে হালকা কুসুম গরম তেলের সাথে মিশিয়ে বুকে-পিঠে ভালো করে সকালে, বিকালে এবং
রাতে মালিশ করে দিতে পারলে ঐ সমস্যা দূর হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। তবে পরিমাণ হতে হবে- ৫ গ্রাম অশ্বগন্ধামূল একটু থেঁতো করে রস করে নিয়ে এক কাপ পরিমাণে পানির সাথে সিদ্ধ করে, ৩/৪ চামচ থাকতে নামিয়ে নিয়ে ভালো করে ছেঁকে নিয়ে ঐ রসটা ২৫/৩০ গ্রাম সরিষার তেলের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। ছোট বড় অনেকের ফোড়া হতে দেখা যায়।
এই ফোড়া অনেক সময় বুঝা যায়না পাকা না কাঁচা। যাকে বলা হয় দরকচা মেরে আছে, সেক্ষেত্রে এই অশ্বগন্ধার মূল বেটে নিয়ে রস বের করে নিয়ে একটু গরম করে ফোঁড়ার উপর সকালে এবং বিকালে দুই বার করে লাগালে ওটা পেকে যেতে সাহায্য করবে। ফোঁড়া পেকে গেলে আলতো চাপ দিয়ে ভিতর থেকে বের করে দিতে পারলে খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।
অশ্বগন্ধার মূলের কার্যকারিতা
শিশুদের ক্ষেত্রে একটা রোগ বেশি দেখা যায়, যার নাম হচ্ছে কার্শ্য রোগ। এই রোগের লক্ষণ হলো-প্রথমে রসবহ স্রোত দূষিত হয়, ফলে শিশুটি যা খায় সেটা থেকে তার কোন পোষণ হয়না। যার ফলে শিশুদের শরীরে মাংসও আর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে দেয়না। অনেকে মনে করেন, বাহিরে থেকে কোন স্নেহজাতীয় কোন পদার্থ মালিশ করে দিলে তার পুষ্টি হবে,
আভ্যন্তরিক তেমন কিছু খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই বললেই চলে, কিন্ত এটার ফলে যে অবস্থা আরও খারাপের দিকে যেতে পারে, এমনকি অস্থিদ্বয় ক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সুতরাং এই সমস্যার যে একটা দারূণ সমাধান আছে তা আমরা অনেকেই জানিনা। শিশুদের এই কার্শ্য রোগ দূর করতে অশ্বগন্ধার মূলের কার্যকারিতা অপরিহার্য্য।
এর সঠিক সমাধানের জন্য শিশুটিকে অশ্বগন্ধার মূল চূর্ণ আধ গ্রাম পরিমাণে এবং সাথে দুধ ও চিনি মিশিয়ে দিনে দুইবার করে খাওয়াতে হবে। পরবর্তিতে যদি শরীরের গঠন বাড়তে থাকে তাহলে আধা গ্রাম পরিমাণের যায়গায় এক গ্রাম পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে হবে, এটা কমপক্ষে ৩/৪ মাস পর্যন্ত খাওয়াতে পারলে সমাধান দেখতে পাবেন।
আবার অনেকের দেখা যায় অল্পতেই বুক ধড়ফড়ানী শুরু করে, অথচ হ্রদযন্ত্রের তেমন কোন অসুখও ধরা পরেনা। আসলে এর কারণ হলো, রক্তবহ স্রোতের বিকার চলার ফলে এই সমস্যা দেখা যায়। এক্ষেত্রে অশ্বগন্ধার মূল চূর্ণ এক গ্রাম থেকে দেড় গ্রাম পরিমাণে সকালে এবং বিকালে দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
লেখকের মন্তব্য
আমরা যারা এই যুগে বসবাস করছি, তারা হয়তো অনেকেই জানে যে, আগেকার মানুষের তেমন কোন জটিল রোগ দেখা যেতোনা। যেকোন অসুবিধা হলেই তারা বাড়ির আশেপাশের বিভিন্ন সমস্যায় বিভিন্ন লতাপাতা, গাছ-গাছালী দিয়ে ভেষজ উদ্ভিদ দ্বারা রোগের সমাধান করতো। তার মধ্যে অন্যতম হলো এই অশ্বগন্ধার মূল, পাতা, ছাল,শেকর অত্যন্ত কার্যকরী ঔষধ হিসেবে ব্যবহ্রত হতো এবং দ্রুত কাজও হতো। এখন যেকোন সমস্যায় আমরা ডাক্তারের কাছে যাই এবং ডাক্তার বিভিন্ন ঔষধ দিয়ে দেন যার কিন্ত পার্শ্বপতিক্রিয়া আছে, এটা আমরা কেউ কিন্ত ভাবিনা।
অথচ আয়ুর্বেদিক ভেষজ উদ্ভিদের কার্যকরী ক্ষমতাও বেশি এবং এর কোন পার্শ্বপতিক্রিয়াও নেই। এই ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহার কমিয়ে দেয়ার ফলে এখন নানা রকম রোগের নাম শোনা যায়। সুতরাং আমরা যদি আমাদের নিজেদের এবং পরিবারের স্বাস্থ্য সচেতন হতে ইচ্ছুক হই তাহলে আমাদেরকে এই ভেষজ উদ্ভিদের প্রয়োগ বাড়াতে হবে। লেখাটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url