গুগল কন্টেন্ট পলিসি, গেস্ট ব্লগিং, আর্টিকেল রাইটিং স্ট্র্যাটেজি সম্পর্কে জানুন।

গুগল কন্টেন্ট পলিসির নিয়মনীতি সম্পর্কে যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই লেখাটি পড়ে আপনি জানতে পারবেন। তার সাথে আরও জানতে পারবেন গেস্ট ব্লগিং কি, এর সুবিধা এবং অসুবিধা কি কি, লং টেইল কিওয়ার্ড বিশ্লেষণ, আর্টিকেল রাইটিং এর স্ট্র্যাটেজি, টপিক খোঁজার টেকনিক, কিওয়ার্ড এনালাইসিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
কন্টেন্ট পলিসি, গেস্ট ব্লগিং, আর্টিকেল রাইটিং
এছাড়াও আপনি আরও জানতে পারবেন, এডভান্স আর্টিকেল ফরম্যাটিং টেকনিকস কি কি, ম্যাজিকেল টাইটেল, অন্যান্য পেজের লিংক করা, একশন বাটন কোনগুলো, SEO, Adsense Optimization কি, এগুলো করার সুবিধা কি ইত্যাদি সম্পর্কে আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।

ভূমিকা

আমরা যারা অনলাইনে কাজ করি বা কাজ শিখতেছি তারা হয়তো এইসব বিষয় সম্পর্কে কিছুটা হলেও জেনে গেছেন। আমরা যারা ওয়েবসাইটের মালিক বা যারা ওয়েবসাইট চালাই তারাই একমাত্র এই সব বিষয়ের সাথে পরিচিত হতে পেরেছি। ওয়েবসাইট হয়তো অনেকেই চালায়, ওয়েবসাইটে অনেকেই পোস্ট লেখালেখি করে, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কন্টেন্ট লিখে থাকে, 

কিন্ত এক্ষেত্রে দেখা যায় কারও ওয়েবসাইট খুব তারাতারি র‌্যাংক করে, কারও ওয়েবসাইট দেরিতে র‌্যাংক করে থাকে, আবার দেখা যায় কারও ওয়েবসাইট থেকে অনেক বেশি ইনকাম হচ্ছে, আর কারও ওয়েবসাইট থেকে কম ইনকাম হচ্ছে, এমনকি এটাও দেখা যায় যে, কারও ওয়েবসাইট থেকে কোন ইনকাম হয়না। 


কারও কারও ওয়েবসাইটে অনেক বেশি Add Show করার ফলে গুগল এডসেন্স থেকে অনেক বেশি ইনকাম করতে সক্ষম হয়েছে। আপনিও যদি আপনার ওয়েবসাইট থেকে, গুগল এডসেন্স থেকে অনেক বেশি বা মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে চান, তাহলে গুগলের যেসব নিয়মনীতি মেনে কাজ করতে হবে সে বিষয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হইলো।

লং টেল (Long Tell Keyword) কিওয়ার্ড বিশ্লেষণ

শুরুতেই আপনাকে জানতে হবে কিওয়ার্ড জিনিসটা আসলে কি। সহজ কথায়, মানুষ যা লিখে গুগলে সার্চ করে সেটাই হচ্ছে কিওয়ার্ড। কিওয়ার্ড দুই ধরনের হয়ে থাকে। একঃ শর্ট টেল কিওয়ার্ড, যেটা এক থেকে দুই শব্দের মধ্যে হয়ে থাকে। দুইঃ লং টেল কিওয়ার্ড, যেটা তিন বা তিন শব্দের বেশি হয়ে থাকে। আপনার যদি কোন ওয়েবসাইট থাকে, 

আর সেখান থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে যেসব পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে, তার মধ্যে অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে লং টেল কিওয়ার্ড থাকতে হবে বা আপনার পোস্ট বা কন্টেন্টে লং টেল কিওয়ার্ড রাখতে হবে। আপনি লেখাটি পড়ে অবশ্যই জানতে পারবেন আপনার ওয়বসাইটে লং টেল কিওয়ার্ড ব্যবহার করা যাবে কিনা বা উচিৎ হবে কিনা। 

আমরা জানি গুগলে বেশির ভাগ মানুষ শর্ট টেল কিওয়ার্ড দিয়ে বেশি সার্চ করে থাকে। কিন্ত আপনি যদি এন্ট্রি লেভেলের ব্লগিং শুরু করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার উচিত হবে লং টেল (Long Tell Keyword) দিয়ে পোস্ট বা কন্টেন্ট লিখা। আপনার যদি প্রবল ইচ্ছা থাকে অনলাইন থেকে বেশি বেশি ইনকাম করার তাহলে আমি বলবো আপনি লং টেল কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন। 

(Long Tell Keyword) লং টেল কিওয়ার্ড দিয়ে মানুষ তেমন পোস্ট না লিখায় আপনার কিওয়ার্ডটি তারাতারি র‌্যাংক করবে। লং টেল কিওয়ার্ড দিয়ে পোস্ট বা কন্টেন্ট লিখলে আপনার ওয়াবসাইটে (Authentic) বা বিশ্বস্ততা বাড়তে শুরু করবে এবং বেশি বেশি ভিজিটর আসতে শুরু করবে। সুতরাং আপনার যদি টার্গেট থাকে যে, গুগল এডসেন্স থেকে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করার প্রবল ইচ্ছা থাকে তাহলে শুরুর দিকে অবশ্যই আপনার লং টেল কিওয়ার্ড ব্যবহার করা উত্তম। 

এতে আপনার পোস্ট এক নাম্বারে চলে যেতে পারে এবং অল্প সময়ের মধ্যে ভিজিটর বাড়তে শুরু করবে। শুরু থেকেই লং টেল কিওয়ার্ড দিয়ে পোস্ট বা কন্টেন্ট লিখলে ঐ পোস্টের মেইন ওয়েবসাইট বা মেইন শর্ট কিওয়ার্ড কে ওভারটেক করে আপনার পোস্ট র‌্যাংকিং এ এক নাম্বারে পৌঁছে যেতে পারে।

আর্টিকেল রাইটিং স্ট্র্যাটেজি, টপিক খোঁজা, কিওয়ার্ড এনালাইসিস প্রক্রিয়া

আমরা যখন কোন বিষয় নিয়ে আর্টিকেল বা পোস্ট লেখা শুর করি তাহলে শুরুতেই আমরা সেই বিষয় নিয়ে আগে গুগলে সার্চ করে থাকি। আমরা সাধারণত সেই বিষয় নিয়েই পোস্ট লিখি যেগুলো মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকে। আপনি যদি এটা জানেন যে পোস্ট বা কন্টেন্ট লেখার জন্য কিভাবে সার্চ দিতে হয় তাহলে আপনি যেকোন বিষয় নিয়েই পোস্ট বা কন্টেন্ট লিখতে পারবেন। গুগলে যদি আপনি যেকোন একটা কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করেন তাহলে গুগল আপনাকে ঐ সম্পর্কিত বা ঐ রিলেটেড আরও বিভিন্ন লেখা সাজেস্ট করে থাকে। 


সেখান থেকে আপনি যেকোন বিষয়ে পোস্ট লিখতে পারবেন। আমরা যখন কোন বিষয় নিয়ে গুগলে সার্চ করি তখন কিন্ত গুগল আমাদের ঐ পোস্টের সাথে সম্পৃক্ত বা সামঞ্জস্য আরও অনেকগুলো ফোকাস কিওয়ার্ড আমাদের সামনে শো করে। যেটা দেখে আপনি ঐ বিষয়ে পোস্ট লিখতে পারেন। আশা করছি আপনি এই বিষয়ে বুঝতে পেরেছেন।

গেস্ট ব্লগিং কি, এর সুবিধা ও অসুবিধা কি কি এবং কিভাবে এটা করবো

আজকের লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়লে জানতে পারবেন গেস্ট ব্লগিং জিনিসটা কি, গেস্ট ব্লগিং এর সুবিধা এবং অসুবিধা কি কি রয়েছে, আর গেস্ট ব্লগিং কিভাবে করতে হবে। শুরুতেই আমরা জেনে নিবো গেস্ট ব্লগিং কিঃ আমরা জানি যে, ব্লগিং মানে কোন কিছু লেখালেখি করা আর গেস্ট মানে তো বুঝি অতিথি। তাহলে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন গেস্ট ব্লগিং জিনিসটা কি। 

অর্থাৎ গেস্ট ব্লগিং মানে হচ্ছে অন্যের ওয়েবসাইটে আমরা যখন অতিথি হয়ে কোন কিছু লেখালেখি করবো এবং এই লেখালেখির মাধ্যমে একটা পেমেন্ট পাবো বা কমিশন পাবো সেটাই হচ্ছে গেস্ট ব্লগিং। যেমন আমরা যদি অর্ডিনারি আইটিতে পোস্ট লিখি এবং তার বিনিময়ে পেমেন্ট নিই তবে সেটাই হবে গেস্ট ব্লগিং।

গেস্ট ব্লগিং করার সুবিধাঃ গেস্ট ব্লগিং করার অন্যতম বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি আপনার ইচ্ছামতো পোস্ট লিখতে পারবেন। যেই ওয়েবসাইটের পোস্ট বা কন্টেন্ট লিখবেন সেই ওয়েবসাইটের লাভ বা লোকশান যাই হোক না কেন আপনার তাতে কোন কিছু যায় আসেনা। আপনি শুধু আপনার ইচ্ছা স্বাধীন পোস্ট লিখবেন আর পেমেন্ট নিবেন এটাই হচ্ছে বড় সুবিধা। আপনার কোন বিষয়ে কোন প্রকার রিস্ক থাকবেনা বা কোন ঝুঁকি থাকবেনা।

গেস্ট ব্লগিং করার অসুবিধাঃ গেস্ট ব্লগিং করার সুবিধা তো জানলাম। এবার জানবো গেস্ট ব্লগিং করার কতিপয় অসুবিধা কি কি। গেস্ট ব্লগিং করার সবচেয়ে বড় যে অসুবিধা রয়েছে তা হলো আপনি যে পোস্ট বা কন্টেন্ট গুলো লিখছেন তার মধ্যে এমন কোন পোস্ট এতো বেশি পরিমানে র‌্যাংক করলো যেখান থেকে ওয়েবসাইটের মালিক সারাবছর সেখান থেকে অনেক মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে থাকলো। 

অথচ আপনি সেই পোস্ট লিখে সাময়িক কিছু অর্থ পেলেন বা একবারই শুধু পেমেন্ট পেলেন। এখন আপনিই চিন্তা করে দেখেন নিজের ওয়েবসাইটে লেখালেখি করা ভালো নাকি গেস্ট ব্লগিং এ লেখালেখি করা ভালো। এক্ষেত্রে আমার একটা উত্তম এবং সৎ পরামর্শ হলো আপনি যদি এন্ট্রি লেভেলের ওয়েবসাইটের মালিক হয়ে থাকেন, 

তাহলে শুরুর দিকে গেস্ট ব্লগিং এ কাজ করে কাজটা ভালো করে শিখতে পারবেন এবং আপনার ওয়েবসাইট র‌্যাংক করা পর্যন্ত কাজ করতে পারেন। এতে একদিকে যেমন আপনার কিছু ইনকাম হবে পাশাপাশি ভালোভাবে কাজ শিখে আপনার ওয়েবসাইট র‌্যাংক করাতে পারবেন।

৪ টি উপায়ে গেস্ট ব্লগিং করে ইনকামের ব্যবস্থা

যে ৪ টি উপায়ে গেস্ট ব্লগিং করে টাকা ইনকামের ব্যবস্থা রয়েছে তা নিয়ে কিছু আলোচনা করা হইলো।
১। ফেরি করে বিক্রি করা 
২। মার্কেট প্লেসে বিক্রি করা 
৩। পার্ট টাইম জব করা 
৪। ফুল টাইম জব করা।

ফেরি করে বিক্রি করার আবার ২ টি উপায় রয়েছে। ১ঃ জনপ্রিয় কোন ওয়েবসাইটের সাথে যোগাযোগ করে বিক্রি করা। ২ঃ ফেসবুক পেজে সুন্দর একটা ব্যানার তৈরী করে এড করে বিক্রি করা। এক্ষেত্রে কোন পোস্ট বা আর্টিকেলের লিংক দিয়ে ফেসবুকে বুস্ট করে দিয়ে বিক্রি করতে পারেন।


২। মার্কেট প্লেসে বিক্রি করাঃ মার্কেট প্লেসে বিক্রি করার জন্য কোন জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এক্ষেত্রে মার্কেট প্লেসের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো ফাইবার ডট কম (fiverr.com)
৩। পার্ট টাইম জব করাঃ আমরা কমবেশি সবাই যেকোন বিষয়ে গুগলে সার্চ করতে পারি। গুগল সার্চ অপশনে গিয়ে কেউ যদি এট লিখে সার্চ করে যে, বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় তাহলে দেখবেন অনেক ওয়েবসাইট চলে আসবে। এর মধ্যে ভালো কোন ওয়েবসাইটের সাথে যোগাযোগ করে পার্ট টাইম জব করতে পারেন।
৪। ফুল টাইম জবঃ একই ভাবে গুগলে যদি সার্চ করেন বাংলা আর্টিকেল লিখে ফুল টাইম জব তাহলে দেখবেন অনেক ওয়েবসাইট আপনার সামনে চলে আসবে। তবে ফুল টাইম জব বা চাকরি করার অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান হলো রাজশাহীর অর্ডিনারি আইটি।

গুগল কন্টেন্ট পলিসির নিয়মনীতি

গুগল কন্টেন্ট পলিসি কি, গুগল কন্টেন্ট পলিসির নিয়মনীতি বা বিধিনিষেধ কি কি রয়েছে, আর এই নিয়মনীতি বা বিধিনিষেধ না মেনে কন্টেন্ট লিখলে গুগল আমাদের বিরুদ্ধে কি কি ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। গুগল কন্টেন্ট পলিসির মধ্যে এমন কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে যা মেনে আপনাকে কন্টেন্ট দেখতে হবে, 

আপনি যদি সে নিয়ম-নীতি না মেনে বা যে কাজগুলি করতে নিষেধ করা হয়েছে আপনি যদি সেই কাজগুলি করে থাকেন তাহলে গুগল আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে। ধরুন, আপনার ওয়েবসাইটের কোন পোস্ট বা লেখার কিছু অংশ কেউ যদি চুরি করে থাকে তাহলে আপনি প্রথমে ঐ ওয়েবসাইটের মালিকের সাথে কথা বলে সমাধান করতে পারেন। 

যদি সে না শুনে বা কোন সমাধান না হলে তাহলে আপনি গুগলের কাছে আপনার অভিযোগ প্রকাশ করতে পারেন, এতে করে গুগল তার বিরুদ্ধে সাথে সাথেই অ্যাকশন নিতে বাধ্য হবে। এখন আমরা জানবো, নিয়ম-নীতির লঙ্ঘন করে বা বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে যদি কেউ কনটেন্ট বা পোস্ট লিখে তাহলে গুগল আমাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে সেই বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হইলোঃ
  1. প্রথমে পাঠকদের সতর্কবার্তা বা মেসেজ দিতে পারে।
  2. নিয়ম নীতি অমান্য করে বা বিধি হিসেবে অপেক্ষা করে কেউ যদি কোন পোস্ট বা কনটেন্ট লিখে তাহলে গুগল কর্তৃপক্ষ তার ঐ পোস্ট বা কনটেন্ট পাবলিক থেকে প্রাইভেট করে দিতে পারে।
  3. নীতিমালা বিরোধী কিংবা বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে কেউ যদি কোন পোস্ট বা কন্টেন্ট লিখে তাহলে গুগল কর্তৃপক্ষ তার ওই পোস্টটি ডিলিট করে দিতে পারে।
  4. আপনি যদি google কন্টেন্ট পলিসির নিয়ম নীতি বা বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে কনটেন্ট বা পোস্ট লিখেন তাহলে আপনার পোস্ট ডিলিট হওয়ার সাথে সাথে আপনার ব্লগ এমনকি আপনার ওয়েবসাইট ডিলিট করে দিতে পারে।
  5. এছাড়া আপনার ব্লগিং একাউন্ট এক্সেস বন্ধ করে দিতে পারে।
  6. আপনার google একাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারে।
  7. তাছাড়া আপনি যে দেশে বসবাস করেন সেই দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে সরবরাহ করে আপনার বিরুদ্ধে সেই দেশের আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আপনার ওয়েবসাইটে কোন পোস্ট বা কনটেন্ট লেখার জন্য গুগল কন্টেন্ট পলিসির যেসব নিয়ম-নীতি বা বিধি নিষেধ রয়েছে তা মানা আপনার জন্য কতটা জরুরী। আশা করছি আপনি আপনার ওয়েবসাইটে পোস্ট বা কনটেন্ট লেখার জন্য এই বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।

এডভান্স আর্টিকেল ফরম্যাটিং টেকনিকস

Google advance আর্টিকেল ফরমেটিং টেকনিক সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। আমি আপনি গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য যে টেকনিক বা উপায় রয়েছে সেই বিষয়ে এখনো সম্যক ধারণা অর্জন করতে পারিনি। গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য যে টেকনিক বা নীতিমালা রয়েছে এ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। যে পাঁচটি টেকনিক অবলম্বন করে বা প্রয়োগ করে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করা যায় সেগুলো হলোঃ
  • ১। পাঠকদের ইন্টারেস্ট ধরে রাখা
  • ক। ম্যাজিক্যাল টাইটেল ব্যবহার করতে হবে
  • খ। আমি আপনি এই শব্দগুলো বেশি ব্যবহার করতে হবে
  • ২। অন্যান্য পেজের লিংক যোগ করা
  • ৩। অ্যাকশন বাটন যোগ করা
  • ৪। এস ই ও (SEO) অপটিমাইজেশন করা
  • ৫। এডসেন্স এড অপটিমাইজেশন করা।
১। পাঠকদের ইন্টারেস্ট ধরে রাখাঃ পাঠকদের ইন্টারেস্ট ধরে রাখার জন্য আপনাকে এমন আর্টিকেল লিখতে হবে যাতে করে আপনি পাঠকদের আকর্ষণ তৈরি করতে পারেন। পাঠকদের ইন্টারেস্ট ধরে রাখার জন্য এক্ষেত্রে আপনি দুটি টেকনিক অবলম্বন করতে পারেন। এক--আপনারা আর্টিকেলের পোস্ট বা কনটেন্ট লেখার জন্য যে টাইটেল রাখবেন, 

সেই টাইটেলটি অবশ্যই ম্যাজিক্যাল টাইটেল হতে হবে। যাতে করে এই ম্যাজিক্যাল টাইটেলের আকর্ষণে পাঠক আপনার পোস্ট পড়তে আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে। দুই--আরেকটি যে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে আপনার পোস্ট বা কনটেন্ট লেখার মাঝে মধ্যেই আমি আপনি, আমার আপনার এই কথাগুলো বেশি বেশি ব্যবহার করতে হবে।

২। অন্যান্য পেজের লিংক যোগ করাঃ আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে অন্যান্য পেজের বা পোস্টের লিংক যোগ করে দিতে পারেন তাহলে পাঠক সেইসব লিংকে প্রবেশ করবে। এক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইট টা অথেন্টিক বা বিশ্বস্ততা অর্জন করতে সক্ষম হবে। আপনি আপনার ওয়েবসাইটে যত বেশি লিংক যোগ করবেন তত বেশি অ্যাড শো করবে, আর যার যত বেশি অ্যাড শো করবে তার তত বেশি গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম হবে।

৩। অ্যাকশন বাটন যোগ করাঃ পোষ্টের মধ্যে লিংক যোগ করার পাশাপাশি অ্যাকশন বাটন যোগ করতে হবে। কেননা লিংক যোগ করার থেকেও অ্যাকশন বাটন যোগ করার ফলে পাঠক বেশি অ্যাট্রাক্টিভ এবং মনোযোগ আকর্ষণ করে লিংকে ক্লিক করে ভিতরে প্রবেশ করবে। এর দ্বারা আমরা যদি এড বা বিজ্ঞাপন দেখাতে পারি তাহলে গুগল এডসেন্স থেকে আমরা অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবো। তাহলে বুঝতেই পেরেছেন আপনার ওয়েবসাইটে একশন বাটন যোগ করার ফলে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করার সম্ভাবনাটা বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে।

৪। এস ই ও (SEO) অপটিমাইজেশন করাঃ SEO=Search Engine Optimization. আমরা যে ওয়েবসাইটে কোন কিছু লিখে সার্চ করি আর সেটা আমাদের সামনে প্রথমেই দেখায় এটিই হচ্ছে SEO এর কাজ। আমাদের সবকিছুই বৃথা হয়ে যাবে যদি আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে SEO অপটিমাইজেশনের কাজ না করে থাকি। আমাদের ওয়েবসাইটে পাঠকদের ইন্টারেস্ট, ম্যাজিকাল টাইটেল, পেজের লিংক, একশন বাটনের লিঙ্ক এসব কিছুর প্রতিফলন ঘটবে যদি আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে SEO অপটিমাইজেশন এর কাজ ঠিকঠাকভাবে করে থাকে।

৫। এডসেন্স এড অপটিমাইজেশন করাঃ গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করার অন্যতম মাধ্যম বা উপায় হচ্ছে SEO এবং Adsense Add Optimization চালু রাখা বা যোগ করে রাখা। আমরা যখন কোন লিংকে ক্লিক করি লিংকে যাওয়ার আগে আমাদের সামনে একটা Add শো করে, এটা কেন দেখায় তা আমরা অনেকেই বুঝিনা। 

এটা দেখানোর কারণ হচ্ছে, এডসেন্স এর অ্যাড অপটিমাইজেশনের কাজ বা চালু রাখার ফলে। আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে তখনই ইনকাম পেতে শুরু করবেন যখন আপনার ওয়েবসাইটে Adsense এর Add Optimization চালু রাখা থাকবে। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করার জন্য কি কি পদক্ষেপ অবলম্বন করতে হবে।

শেষ কথা বা লেখকের মন্তব্য

উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নিশ্চয়ই জানতে পারলাম গুগল কন্টেন্ট পলিসি কি, গুগল কন্টেন্ট পলিসি নিয়ম নীতি ও বিধি নিষেধ গুলো কি কি, এই নিয়ম নীতি বা বিধি-নিষেধ না মানলে গুগল আমাদের বিরুদ্ধে কি কি ব্যবস্থা নিতে পারেন, আরো জানতে পেরেছি অ্যাডভান্স আর্টিকেল ফরমেটিং টেকনিক গুলো কি কি, google এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করার কি কি উপায়ে রয়েছে, 

এছাড়াও জানতে পেরেছি গেস্ট ব্লগিং কি, গেস্ট ব্লগিং করার সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে, গেস্ট ব্লগিং কিভাবে করতে হয় সে বিষয়েও জানতে পেরেছি। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আরো জানতে পারলাম যে, লং টেল কিওয়ার্ড কাকে বলে, লং টেল কিওয়ার্ড বিশ্লেষণ সম্পর্কে, আর্টিকেল রাইটিং এর স্ট্রাটেজি, কিভাবে টপিক খুঁজতে হয় তার টেকনিক, 

কিভাবে কিবোর্ড এনালাইসিস করতে হয় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন, আর আপনার যেকোন মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url