কিসমিস খাওয়ার নিয়ম-কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন।

কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আজকের আলোচনা। আপনি আরও জানতে পারবেন কিসমিস ভিজিয়ে খেলে বা দুধের সাথে কিসমিস খেলে, এমনকি কিসমিস খেলে নাকি মানুষ ফর্সা হয় ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনি যেটা খোঁজার চেষ্টা করছেন সেটা অবশ্যই পাবেন।
কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
এছাড়াও আপনি আরো জানতে পারবেন, রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হবে বা শুকনো কিসমিস খেলে কি উপকার হবে এমনকি কিসমিস কিসের সাথে মিক্স করে খেলে বেশি উপকার হয় সেসব বিষয়েও আপনি জানতে পারবেন।

ভূমিকা

কিসমিসের পুষ্টিগুন পরিপূর্ণ পেতে চাইলে আপনাকে কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।আরও বেশি উপকৃত হবেন যদি আপনি দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।সঠিক নিয়ম মেনে কিসমিস খেলে তার পরিপূর্ণ উপকারও পাবেন।সারাদিন পরিশ্রম করে রাতে কিসমিস খেলে কতটুকু বেশি উপকার হবে। শুকনো কিসমিস খাওয়ার ফলাফল কেমন হবে বা মানুষ ফর্সা হওয়ার জন্য নাকি কিসমিস খায়। এসব বিষয় নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে।

কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস পানিতে ৪/৫ টা কিসমিস মেশানো পানি এবং কিসমিস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে কিসমিস ভেজানো পানি এবং কিসমিস খেলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।কিসমিস ভেজানো পানি খেলে স্বাস্থ্যগত এবং পুষ্টিগত গুনাগুন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

কিসমিসে যে পরিমান পুষ্টি আছে তা পুরাপুরি পেতে হলে কিসমিস ভিজিয়ে খেতে হবে।অন্তসত্তা মহিলারা যদি কিসমিস ভেজানো পানি এবং কিসমিস খায় তাহলে তাদের শরীরের স্বাভাবিক এনার্জি বজায় থাকবে এবং আগত সন্তানের হার্ট,রক্ত বৃদ্ধি ,ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

দুধের সাথে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিস এবং দুধ দুইটাই অনেক পুষ্টিগুন সম্পন্ন ভারী খাবার।যারা শারীরিক দূর্বলতা অনুভব করে,বসে থেকে উঠতে গেলে মাথা চক্কর দিয়ে উঠে,শরীরের স্বাভাবিক এনার্জি পাচ্ছেন না,তাদের জন্য খুবিই উপকারী এবং কার্যকরী সমাধান হচ্ছে দুধের সাথে মেশানো কিসমিস খাওয়া।কিসমিস শুকনো খেলেও অনেক উপকার,কিসমিস ভিজিয়ে খেলে আরও বেশি উপকারী।

আর সেটা যদি দুধের সাথে ভিজিয়ে খাওয়া হয় তাহলে বুঝতেই পারছেন দুধের পুষ্টিগুনের সাথে কিসমিসের পুষ্টিগুন মিশে একটা পরিপূর্ণ পুষ্টিগুন খাবার তৈরী করতে সক্ষম হয়।পুরুষের শারীরিক সমস্যার কারনে কেউ যদি গরম দুধের সাথে কিসমিস মিশিয়ে খায় তাহলে তার শারীরিক দূর্বলতা দূর করে পরিপূর্ণ এনার্জি আনতে সাহায্য করবে।

কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

কিসমিস আমাদের সবার কাছেই একটা অতি পরিচিত একটা খাবার।এটা ছোট,বড় সবাই খেতে পারবেন।কিসমিস যেকোন সময়েই খাওয়া যায়,তবে নিয়মিত এবং পরিমান মতো খাওয়াই উত্তম।শুধুমাত্র কিসমিস এমনিতেই খেতে পারেন,পানি দিয়ে ভিজিয়ে খেতে পারেন,দুধ দিয়ে ভিজিয়ে খেতে পারেন,এমনকি দুধ,কিসমিস এবং খেজুর একত্রে মিশিয়ে ভিজিয়ে খেতে পারেন।

সকালে খালি পেটে খাওয়াই বেশি উপযোগী,এছাড়াও রাতে গরম দুধের সাথে ভিজিয়ে খেতে পারবেন।নিয়মিত কিসমিস খেলে হার্ট সচল থাকে,শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে,রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে,হজম শক্তি বৃদ্ধি করে,পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায়,শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় রাখতে,শরীরের এনার্জি ঠিক রাখতে নিয়মিত কিসমিস খাওয়া খুব জরুরী এবং উপকারী।

রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়

কিসমিস খেলে যে অনেক উপকার হয় এটা আমরা প্রায় সবাই জানি। কেউ কেউ মনে করে কিসমিস শুধু বিভিন্ন রান্নার জন্য মসলা হিসেবে ব্যাবহার করা হয়। কিন্ত কিসমিস খেলে যে শারীরিক অবস্থার অনেক উন্নতি উপলব্ধি করা যায় সেটা আমাদের অবশ্যই জানা উচিত। আবার একটা বিষয় জানা জরূরী যে, কিসমিস আসলে কোন সময়ে বা কিসের সাথে মিশিয়ে খেলে বেশি কাজ করে সে সম্পর্কেও আমাদের জানতে হবে।

সারাদিন পরিশ্রম করার পর শরীরে একটা ক্লান্তি চলে আসে, দূর্বলতা অনুভূত হয়, শরীরের এনার্জি কমে আসে, সেক্ষেত্রে রাতে ঘুমানোর পূর্বে কিসমিস খেলে আপনার যাবতীয় ক্লান্তি দূর করে দিবে, স্বাভাবিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং শরীরে এনার্জি চলে আসবে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে, গরম দুধ দিয়ে খেতে পারেন, পানি দিয়ে ভিজিয়ে খেতে পারেন,এমনকি শুকনো কিসমিসও খেতে পারেন।

শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়

মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরীর উপকরণ হিসেবে,মসলা হিসেবে কিসমিস ব্যাবহার করা হলেও কিসমিস খেলে যে নানাবিধ শারীরিক অবস্থার উন্নতি সাধন হয় তা কিন্ত কমবেশি আমরা সবাই জেনে গেছি।কিসমিস যে বিভিন্ন উপকরণের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায় আবার শুকনো খেজুরও খাওয়া যায়। শুকনো খেজুর খেলেও আপনার রুচি বৃদ্ধি পাবে,রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকে, শরীরে এনার্জি বেড়ে যায়।

তবে যাদের শরীরে ডায়াবেটিসের প্রভাব বেশি দেখা যায় এবং শরীরে পটাশিয়ামের পরিমান বেশি থাকে তাদের কিসমিস কম বা না খাওয়াই বেশি ভালো। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালোনা এটা আমরা জানি, ঠিক তেমনি ভালো লাগার জন্য অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়া ও ঠিক না। তবে পরিমান মতো খেলে এগুলোর মধ্যে তেমন কোন ক্ষতি নাই। একটা বিষয় বলে রাখা ভালো যে, শুকনো কিসমিস খাওয়ার চেয়ে বিভিন্ন খাদ্য উপকরনের সাথে ভিজিয়ে মিশিয়ে খাওয়াই বেশি উত্তম।

কিসমিস খেলে কি মানুষ ফর্সা হয়

ইতিপূর্বে আমরা জেনে গেছি কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা, শুকনো কিসমিস খাবো নাকি কোন কিছুর সাথে ভিজিয়ে মিশিয়ে খাবো, সকালে খাওয়া ভালো নাকি রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়া ভালো। আমরা মানুষ,আমরা সৌন্দর্যের একাগ্রতায় থাকতে ভালোবাসি, সেজন্য আমরা বিভিন্ন কসমেটিক্স সামগ্রী ব্যাবহার করে থাকি। কোন ক্রিমের কাজ কি, কোন কোম্পানি ভালো, কোনটা খারাপ, এমনকি আমরা খাবারের মধ্যেও আমরা অনেক কিছুর নিয়ম মেনে খেয়ে থাকি।

কিসমিসের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা অবহিত হতে পেরেছি, পানি দিয়ে কিসমিস খাওয়া বা দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়া কেমন উপকারী। এটাও জানতে পেরেছি যে, কিসমিস মেশানো পানি পান করলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সাহয্য করে। তাই কেউ যদি নিয়মিত কিসমিস মেশানো পানি এবং কিসমিস খায় তাহলে তার সৌন্দর্যের অবশ্যই পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে।

লেখকের মন্তব্য 

আশা করছি, আপনি কিসমিস সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারছেন। তবে কোন কিসমিসের থেকে পানি দিয়ে ভেজানো কিসমিস খেলে বেশি উপকার হবে। আরো ভালো হবে, যদি আপনি দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। যদি আমাদের লেখা আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url