উস্তা বা করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন।

উস্তা বা করলা খেতে একটু তেতো হলেও এই খাবার আমাদের অনেকরই খুবই পছন্দের একটা খাবার। উস্তা বা করলা ভাজি করে খাওয়া বেশি পছন্দের, এছাড়া ভর্তা করে খাওয়া যায় এবং তরকারী করে খাওয়া আমাদের অনেকের খুব প্রিয়। করলা খেলে শ্বাসকষ্ট রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়, হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
উস্তা বা করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
এছাড়াও উস্তা বা করলা খেলে ক্যান্সারের মতো মারাত্বক রোগের শেফা হিসেবে কাজ করে, হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। উস্তা বা করলা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে পুরো লেখাটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

ভূমিকাঃ

এক প্রকার উস্তা রয়েছে যা আপনা আপনি গাছ জন্মে, এগুলো আকারে ছোট ও বীজবহুল এবং স্বাদের দিক দিয়ে অপাক্ষাকৃত কম তেতো। কোন কন অঞ্চলে এর নাম কাশীর উচ্ছে বলে। এক প্রকার রয়েছে যেগুলি বসন্ত বা গ্রীষ্মকালে মাটিতে অথাব ক্ষেতেও আবাদ করা হয়ে থাকে। আর এক প্রকার হচ্ছে যেটা ভারতবর্ষ তথা এই বাংলায় বেশি দেখা যায়। 


যেটার সংস্কৃত নাম কারবেল্লক এবং প্রচলিত নাম হচ্ছে করলা,উস্তা। এটার বীজ পুঁতে দিতে হয় এবং মাচায় তুলে না দিলে বর্ষাকালে মরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই গাছের লতাগুলি অনেক মোটা এবং পাতাগুলি আকারে অনেক বড় কিন্ত তার গঠনের তারতম্য নেই। ফুলের রঙ হলুদ আকারের এবং ফলও বেশ বড় হয়।

নিয়মিত করলা খাওয়ার উপকারিতা

নিয়মিত করলা খেতে পারলে শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। করলা কেন নিয়মিত খেতে হবে এবং নিয়মিত উস্তা বা করলা খাওয়ার যে ব্যপক উপকারিতা রয়েছে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

করলা শ্বাসকষ্ট দূর করতে সাহায্য করেঃ উস্তা বা করলাতে রয়েছে বিভিন্ন গুনাগুন। করলার রসের সাথে অল্প কিছু পানি এবং মধু মিশিয়ে খেতে পারলে এজমা, গলা ব্যাথা দূর করে, এছাড়া যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে তারা যদি নিয়মিত করলার রস আর মধু মিশিয়ে খেতে পারে তাহলে তাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।


হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে করলার উপকারিতাঃ উস্তা এবং করলা খাওয়ার অন্যতম গুণ হচ্ছে এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা দূর করতে করলা খাওয়ার ভূমিকা অপরিসীম।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে করলার উপকারিতাঃ অনেকের এই সমস্যা দেখা যায় যে, তাদের দৃষ্টিশক্তি দূর্বল, ঠিকমতো দেখতে অসুবিধা হয়ে থাকে, বিশেষ করে দূরের জিনিস কম দেখতে পায়, এমন সমস্যার সমাধানে নিয়মিত উস্তা এবং করলা খেতে পারেন। কেননা, করলা খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে করলার ভূমিকাঃ ডায়াবেটিসের সমস্যা বর্তমান সময়ের একটা পরিচিত ব্যাধি। দেখা যায় প্রায় মানুষেরই ডায়াবেটিসের সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। করলাতে রয়েছে এন্টঅক্সিডেন্ট এবং সুগার নিয়ন্ত্রনের উপাদান। তাই ডায়াবেটিস রোগিদের নিয়মিত করলা খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকবে এবং শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় থাকবে।

রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে করলা খাওয়ার উপকারিতাঃ যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ তুলনামূলক কম থাকে, যারা দূর্বল চিত্তের লোক, কোন সমস্যা হলে বা কোথাও কেটে গেলে সাড়াতে অনেক সময় লাগে, তাদের জন্য উত্তম ব্যাবস্থা হলো নিয়মিত করলা খাওয়া জরূরী। কেননা, করলা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রতিরোধে করলা খাওয়ার উপকারিতাঃ ক্যান্সার একটি মরণব্যাধি এটা আমাদের সবারই জানা। এই মরণব্যাধি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাইতে করলা খাওয়ার উপকারিতা অপরিসীম। আমরা অনেকেই জানিনা যে, নিয়মিত করলা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে ক্যান্সার নিরাময়ের যে লাইকোপিন রয়েছে তা যথাযথ পেতে সাহায্য করবে।

হার্ট ভালো রাখতে করলা খাওয়ার উপকারিতাঃ আমরা সবাই জানি হার্টএটাক অন্যতম মরণব্যাধি। যখনই উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায়, যার ফলে রক্তনালিতে চর্বি জমে হার্টের সমস্যা তৈরী হয়। তাই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করতে এবং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে করলা খাওয়া খুবই উপকারী।

এলার্জি দূর করতে করলা খাওয়ার উপকারিতাঃ এলার্জির সমস্যার কারনে আমরা অনেকেই আমাদের ভালো মন্দ খাবার খেতে পারিনা। এলার্জি বেড়ে যাওয়ার ভয়ে আমরা আমাদের খাদ্য সামগ্রী সঠিক মাত্রায় বা তৃপ্তি সহকারে খেতে পারিনা। তাদের জন্য উত্তম পরামর্শ হলো নিয়মিত করলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাহলে দেখবেন অচিরেই আপনার এলার্জি দূর হয়ে যাবে।

আধকপালে মাথাব্যথা দূর করতে করলার ভূমিকাঃ আগেকার প্রাচীন বৈদ্যরা রোগি দেখতে গিয়ে ম্যাজিক দেখাতেন। রোগিকে বলতেন কয়েকটা করলার পাতা নিয়ে আসতে, এরপর সেই পাতা বেটে নিয়ে একটা নেকড়ার ভিতর পুরে নিয়ে রোগির মাথার যেদিকে ব্যাথা বা যন্ত্রনা হচ্ছে সেইদিকের নাকে রসটার ফোঁটা ফেলে দিয়ে টানতে বলতেন। মিনিট কয়েকের মধ্যেই তার মাথা ব্যাথা দূর হয়ে যেতো।

বাত ব্যাথা দূর করতে করলার উপকারিতাঃ আমাদের অনেকেরই এই বাতের ব্যাথা দেখতে পাওয়া যায়। যাদের এই বাত ব্যাথার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য উত্তম সমাধান হলো- আপনার দেহ থেকে বাত ব্যাথা ভ্যানিস করতে তিন অথবা চার চা চামচ করলা বা উস্তার রস হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে তার সাথে দেড় চা চামচ ঘি মিশিয়ে ভাতের সাথে খেতে পারলে বাত ব্যাথা সেড়ে যেতে সাহায্য করবে।

গুঁড়ো কৃমি দূর করতে করলার উপকারিতাঃ এই ধরনের সমস্যা হলে দেখবেন পিছনে খালি কুট্‌কুট্‌ করে কামড়াতে থাকে এবং খালি সুড্‌সুড্‌ করতে থাকে। যার ফলে আপনার হাত খালি পিছনে দিয়ে চুলকাতে হয়। এই ধরনের সমস্যা দূর করতে উত্তম ব্যবস্থা হলো বয়স্কদের ক্ষেত্রে এক বা দুই চা-চামচ এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আধ চা-চামচ করলা পাতার রস করে নিয়মিত ভাবে সকালে এবং সামান্য কিছু পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারলে পেটের গুঁড়ো কৃমি উপশম করতে সাহায্য করবে।

উস্তা বা করলা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা কি কি

করলা খাওয়ার ভালো দিক বা উপকারিতা আমরা অনেকেই জানি। কিন্ত করলা খাওয়ার যে কিছু ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা রয়েছে সে সম্পর্কেও আমাদের জানতে হবে। কারণ, প্রতিটা জিনিসেরই ভালো দিক এবং খারাপ দিক রয়েছে। করলা খাওয়ার যে অপকারিতা রয়েছে সে বিষয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হইলোঃ

  1. গর্ভবতী মহিলারা যদি অধিক পরিমাণে এই তেতো জাতীয় করলা বা উস্তা খাওয়ার অভ্যাস করে ফেলে তাহলে তাদের মাসিকের প্রভাব বাড়তে পারে এবং গর্ভের সময় ক্ষতিকর প্রভাব পরতে পারে। এমনকি গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে। তাই গর্ভবতী মহিলাদের করলা না খাওয়াই উত্তম, এতে খিচুনির ঝঁকিও দেখা দিতে পারে।
  2. যারা ডায়াবেটিসের সমস্যার কারণে নিয়মিত ঔষধ সেবন করে থাকেন, তাদের জন্য এই তেতো করলা বা উস্তা না খাওয়াই ভালো। কেননা, তেতো করলা খাওয়ার দরূণ আপনার ঔষধের কোন কাজ করবেনা, এছাড়াও পার্শ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
  3. শিশুদের ক্ষেত্রে তেতো করলা না খাওয়াই উচিৎ। কেননা, তেতো করলা খাওয়ার দরূণ শিশুদের গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাদের পেট ফুলে যেতে পারে, বমি হতে পারে, এমনকি পেট ফাপা ফাপা রোগ সৃষ্টি হতে পারে।
  4. যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের করলা বা উস্তা খেলেও এলার্জির প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। এক্ষেত্র এলার্জি রোগিদের উত্তম ব্যবস্থা হলো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কোন কিছু খাওয়া।
  5. করলা অত্যন্ত তেতো জাতীয় খাবার। আর তাই এই অতিরিক্ত তেতো জাতীয় করলা বা উস্তা খেলে আপনার লিভারে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই অতিরিক্ত কোন কিছু না খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো।

করলার জুসের উপকারিতা

করলা বা উস্তা খেতে অমরা অনেকেই যেমন খুব পছন্দ করি। ঠিক তেমনি করলার জুস খাওয়া কিন্ত আরো বেশি মজার এবং উপকারিতাও অনেক বেশি। করলা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ব্যপক সাহায্য করে থাকে। করলার জুস করতে হলে প্রথমেই আগে করলার তেতো ভাব দূর করতে হবে। 

করলার তেঁতো ভাব দূর করার জন্য শুরুতেই করলা কেটে নিয়ে তার ভিতর থেকে বিচিগুলো বের করে নিতে হবে। তারপর করলা ছোট ছোট আকারে কুচি কুচি করে নিতে হবে। এরপর কুচি কুচি করা করলা অল্প পানির সাথে মিশিয়ে নিয়ে লবন ছিটিয়ে দিয়ে রাখলে করলার তেঁতো ভাব দূর হয়ে যাবে। কিছুক্ষন পর করলা গুলো ব্লেন্ডের ভিতর দিয়ে ব্লেন্ড করলেই করলার জুস তৈরী হয়ে যাবে। 

করলার জুস খালি খালিও খেতে পারবেন এবং পানির সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারবেন। প্রতিদিন নিয়মিত সকালে খালি পেটে করলার রস বা করলার জুস খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে রেহাই পয়ায়া যাবে। শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য করলার জুস খুবই উপকারী। করলার জুসের উপকারিতা গুলো নিচে বিস্তারিত জানতে পারবেনঃ

  • যাদের শরীরের ওজন অনেক বেশি, তাদের শরীরের ওজন কমানোর জন্য কাঁচা করলার জুস খেতে হবে। তাহলে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
  • করলার জুস নিয়মিত খেতে পারলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
  • শর্করার পরিমাণ বাড়াতে করলার জুস অত্যন্ত উপকারী। করলার জুস শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রন রাখতে সাহায্য করে।
  • যাদের দৃষ্টি শক্তি দূর্বল, যারা দূরের জিনিস ভালো করে দেখতে পায়না। তাদের জন্য উত্তম ব্যবস্থা হলো নিয়মিত করলার জুস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। তাহলে দেখবেন আপনার চোখের দৃষ্টি শক্তি বেড়ে যাচ্ছে। 
  • যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য উচিৎ নিয়মিত করলার জুস খাওয়া। কেননা, করলার জুস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন রাখতে সাহায্য করে।
  • করলার জুসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যকারিতা হলো, করলার জুস নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে আপনার চুলের এবং আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
  • নিয়মিত করলার জুস খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে এলার্জি এবং এজমা কমাইতে সাহায্য করবে।

করলা পাতার উপকারিতা

করলা পাতার ব্যপক উপকার রয়েছে যা আমরা অনেকেই জানিনা। লিভার ভালো রাখতে বা লিভারের জন্য করলা পাতা উত্তম ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে। মাত্রারিরক্ত টক্সিন বের করে দিয়ে শরীরকে সুস্থ্য রাখার জন্য করলা পাতা অত্যন্ত কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। 


যদি কারো ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তার ডায়রিয়া ভালো করার জন্য করলা পাতার রস মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য অনেক মহিলা করলা পাতার রস ব্যবহার করে থাকেন, যা খুবই উপকারী।

করলা চাষ করার পদ্ধতি

আমরা যারা করলা খেতে পছন্দ করি বা অনেক ভালোবাসি তারা হয়তো অনেকেই জানেনা যে, করলা কোথায় কিভাবে চাষ করা হয়। বিশেষ করে যারা শহরাঞ্চলে বসবাস করে তারা অনেকেই জানেনা এইসব সবজি কিভাবে, কোথায় চাষাবাদ করা হয়। যারা করলা চাষাবাদ সম্পর্কে জানেনা তাদের জানার জন্যই আজকের এই পোষ্টটি লেখা হয়েছে। 

আমরা সবাই জানি যে, করলা আমাদের পরিবার ভিত্তিক তথা আমাদের দেশের অন্যতম প্রধান খাদ্য সামগ্রী। করলা খেতে একটু তেঁতো লাগে তবুও এই করলা আমাদের অনেকের কাছেই অনেক প্রিয় একটা সবজি হিসেবে পরিচিত। করলার এই তেঁতো স্বাদের জন্য নানা রকম রোগের শেফা হিসেবে দারূণ কাজ করতে সাহায্য করে থাকে। 

তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, করলার রস খেলে বহুমূত্র রোগের শেফা হিসেবে কাজ করে, এছাড়া চর্ম জনিত রোগ ভালো করতে, বাতের ব্যাথা, এমনকি হাঁপানি রোগের সমস্যারও সমাধান করতে সাহায্য করে। করলা চাষ করার জন্য প্রথমে মাটি নির্বাচন করতে হবে, মাটি এবং জমিন কেমন হতে হবে করলা চাষের জন্য তা নিচে আলোচনা করা হলোঃ 

করলা চাষের জন্য বিশেষত আবহাওয়াটা হতে হবে উষ্ণ এবং আদ্র। করলা চাষাবাদ করতে একটু কষ্ট সাধন করতে হয়। শুকনো বা শুষ্ক আবহাওয়া করলা চাষের জন্য উপযোগী। বর্ষাকালে বা অতিরিক্ত বৃষ্টির মৌসুমে করলা চাষ সম্ভব না, এতে করলার অনেক ক্ষতি হতে দেখা যায়। শীতের সময় করলা চাষ করলে গাছের বৃদ্ধিও কম হয়, এবং মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। 

তাই উত্তম সময় হলো শুষ্ক আবহাওয়ায়। করলা চাষ আবাদী জমিতেও করা যায়, বিশেষ করে যেসব এলাকায় রসুনের আবাদ হয়ে থাকে, সেইসব এলাকায় রসুনের গাছ একটূ বড় হয়ে যাওয়ার পর ঐ জমিতেই করলা লাগাতে দেখা যায়। এতে রসুন উঠানোর পর করলার গাছ বাড়তে থাকে এবং করলা ধরতে শুরু করে। এছাড়াও মাচার উপরেও করলা চাষ করতে দেখা যায়।

লেখকের মন্তব্য ও শেষ কথা

উপোরোক্ত আলোচনার দ্বারা নিশ্চয় জানতে পারলাম করলা খেলে কেমন উপকার হয়, করলা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক কেমন বা অপকারিতা কি কি সে বিষয়ে। করলার স্বাদ তেঁতো হলেও এটা আমাদের অনেকের কাছেই অনেক প্রিয় একটি সবজি। করলা ভাজি করে খেতেই বেশি মজার, এছাড়াও ভর্তা করে অনেকেই খায়, আবার করলার তরকারিও অনেক প্রিয়। 

করলা খেলে খাবারের রুচি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং পেটের গুঁড়ো কৃমি দূর করতেও সাহায্য করে। করলা ভাজির সাথে ডাল খেতে পারলে আরও বেশি স্বাদের লাগে। ছোট ছোট আলু দিয়ে করলা ভাজি করে গরম ভাতের সাথে খেতে পারলে খাবারে বাড়তি তৃপ্তি পাওয়া যায় এবং প্রয়োজনের বেশি খাওয়া যায়। বাঙ্গালীদের ঐতিহ্যগত খাবার হিসেবে খুবই পরিচিত এই তেঁতো যুক্ত করলা বা উস্তা সবজি। এর কদর অনেক বেশি দেখা যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url