বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো করার এবং ভালো রাখার উপায় সমূহ।
বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো করার এবং ভালো রাখার যে বিভিন্ন উপায় রয়েছে সে সম্পর্কে আমাদের জানা অতি জরুরী। এছাড়াও বাচ্চাদের পুষ্টিকর খাদ্য সম্পর্কে, বাচ্চাদের ওজন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া এমন নানা রকম বিষয় নিয়ে নিচে আলোচনা করা হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি আরও জানতে পারবেন, নবজাতক শিশুর ওজন বাড়ার প্রক্রিয়া, শিশুর স্বাস্থ্যের নানান সমস্যা এবং তার সমাধান সম্পর্কে, বাচ্চাদের শরীর মোচড়ানোর কারণ ইত্যাদি বিষয়ে সঠিক তথ্য জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
বাচ্চাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার
বাচ্চাদের জন্ম থেকে ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের দুধের কোন বিকল্প পুষ্টিকর খাবার নাই। এটা প্রায় সবারই জানা, ছয় মাস বয়সের পর থেকে শিশুর শারীরিক এবং মানসিক প্রবৃদ্ধি ঘটতে থাকে। তাই শিশুর স্বাভাবিক সুস্বাস্থ্যের জন্য এবং প্রবৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন অপরিহার্য। আমরা আরও লক্ষ্য করে থাকি যে,
শিশুরা বাড়তি খাবারের মধ্যে বাছাইকরে খেতে পছন্দ করে। সেক্ষেত্রে আবার পুষ্টিকর খাবারের থেকে বাচ্চাদের পছন্দকে প্রাধান্য দেয়াই উত্তম বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। বাচ্চাদের পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যগত খাবার বানানোর বা কোন বয়সী বাচ্চাদের খাবার তালিকা কেমন হলে ভালো হবে সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত বলা আছে।
১ থেকে ২ বছরের বাচ্চাদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য
শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, এক বছর বয়সের বাচ্চাদের প্রতিদিন আনুমানিক ১০০০ ক্যালোরি, ৭০০ মিলি ক্যালসিয়াম, ৭ মিলি আয়রন এবং ৬০০ মিলি ভিটামিন ডিএর প্রয়োজন অপরিহার্য। কোন জাতীয় খাবার থেকে এই খনিজ উপাদানের ঘাটতি পূরন করতে সাহায্য করে তা জানার জন্য দেয়া হলোঃ
নরম জাতীয় খাদ্যঃ পাকা কলা, ব্লেন্ড করা আপেল, পীচ ইত্যাদি নরম জাতীয় খাবার যা বাচ্চাদের জন্য অনেক পুষ্টিগুন সম্পন্ন এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
মসুরের ডালঃ মসুরের ডাল অনেক প্রোটিন যুক্ত এবং শরীরে এসিড সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
শাক-সবজিঃ গাজরের সাথে আলু দিয়ে স্যুপ বানিয়ে খাওয়াইলে চোখের গতি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
দুধ এবং দইঃ দুধ এবং দইয়ের মধ্যে প্রচুর ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন যুক্ত করার প্রধান উপাদান হিসেবে কাজ করে। এই জাতীয় খাবার বানিয়ে দিনে তিন বা চার বার খাদ্যের সাথে মিক্স করে খাওয়ানো যেতে পারে। এতে শিশুর পূর্ণ বিকাশ পেতে সাহায্য করবে।
২ থেকে ৩ বছরের বাচ্চাদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য
সচরাচর ২ থেকে ৩ বছরের বাচ্চারা মিক্সড করা খাবার এবং ব্লেন্ড করা জাতীয় খাবার পরিহার করতে থাকে এবং পরিবারের জন্য যেগুলো রান্না করা হয় সেই খাবারের দিকে আরোপিত হয়। খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চারা যেন একক কোন খাবারের দিকে আকৃষ্ট হয়ে না যায়, বাচ্চাদের ভালোবেসে এবং খাওয়ানোর জন্য অনেক সময় দিয়ে খাওয়াইতে হবে। অতিরিক্ত অনেক খাদ্যের আগ্রহ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
- শাক- সবজির সাথে নানা রকম ফলমূল।
- শস্যজাতীয় খাবারের মধ্যে নরম করে নুডলস, পাস্তা, ওটস, বার্লি, কুইনো।
- পুষ্টিগুন এবং আয়রন জাতীয় খাবারের মধ্যে নরম মাংস, ছোট ছোট মাছ, ডিম, মটর সিদ্ধ করে নরম খাদ্য, মসুরের ডাল, মিক্সার এবং ব্লেন্ড করা কাঠ বাদাম, কাজু বাদাম, দুধ এবং দুধের তৈরী নরম খাদ্য, সবুজ শাক, পনির।
- এগুলো ছাড়াও পরিমাণ মতো দুধ বা দুগ্ধজাতীয় খাবার, আয়রন জাতীয় খাবার খাওয়ানো যেতে পারে, তবে দুধ বা দুধের তৈরী খাবারে কোন সমস্যা দেখা দিলে পরিমাণ নিয়ন্ত্রন করা উত্তম।
৩ থেকে ৫ বছর বাচ্চাদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য
শিশুরা এই বয়সে পুষ্টিকর খাবার ছাড়াও অনেক বাড়তি খাবারের দিকে আগ্রহ প্রকাশ করে। এই বয়সের শিশুরা অনেক বেশি ছোটাছুটি করে থাকে যা তাদের শরীরের উপর অনেক চাপ তৈরী হয়। এই সময়ে অবশ্যই তাদের খাবারেরে দিকে খুব বেশি করে মনোযোগ রাখা জরূরী। কেননা, তাদের এই বয়সে খেলাধুলা বা ভালো লাগার জন্য অনেক কিছু করতে দেখা যায়,
কিন্ত খাবারের দিকে আগ্রহ কম থাকে বা ঠিকমতো খাবার খেতে ভুলে যায়। তাই, পিতা-মাতার কর্তব্য শিশুর ভালোলাগার পাশাপাশি খাবারের দিকেও নজর রাখতে হবে।
- সন্তানকে পাশে বসিয়ে একসাথে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
- রুচিশীল খাবার পরিবেশন করতে হবে।
- খেয়া রাখতে হবে যেন খাবার গুলি পুষ্টিকর হয়।
- খাবার খাওয়ার সময় দ্রুত না খেয়ে ধীরস্থির ভাবে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
- সন্তানকে তার মতো করে খাওয়ার সুযোগ দিন।
- দোকানের অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করে চলাই উত্তম।
- সর্বোপরি তার সাথে লেগে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
বাচ্চাদের স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য
প্রত্যেক বাবা-মায়ের জন্য সন্তানেরা একটা আত্মার বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। প্রতিটি মা-বাবাই চায় তাদের সন্তান যেন সুস্বাস্থ্য এবং সুন্দর জীবন যাপনের মাধ্যমে বেড়ে উঠতে থাকে এবং সম্পূর্ণ শারীরিক ও মানসিক বুদ্ধিদীপ্ত সম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠে। সন্তান সুস্থ্যভাবে বেড়ে উঠতে হলে স্বাস্থ্যসম্মত এবং পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্যের যোগান খুব জরুরী এবং কার্যকরী।
যদি দেখা যায় যে, বাচ্চাদের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তার ওজনও স্বাভাবিক অবস্থায় বিদ্যমান থাকে তবে বুঝে নিতে হবে বাচ্চাদের খাবারটি স্বাস্থ্যগত এবং গুনগত মানসম্পন্ন। কিন্ত বেশিরভাগই আমরা লক্ষ্য করে দেখি যে, প্রায় সন্তানেরা ছোটবেলা থেকেই দোকানের খাদ্য দ্রব্যের দিকে কিংবা ফাস্টফুডের দিকে বেশি আকৃষ্ট থাকে। বাচ্চাদের ওজন বাড়াতে আমরা কি কাজ করতে পারি, আসুন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি।
বাচ্চাদের যেসব খাবার দাবার খাওয়ানো হয় খেয়াল রাখতে হবে যেন অবশ্যই পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত হয়ে থাকে। এছাড়াও খেয়াল রাখতে হবে তার খাদ্যের ক্যালোরির মাত্রা সম্পূর্ণ ভাবে পূরণ করতে সক্ষম হচ্ছে কিনা। বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় যেন তাড়াহুড়া না করা হয় বরং সময় নিয়ে আনন্দ বা মজার মজার গল্প শুনিয়ে তৃপ্তি করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
প্যাকেটজাত দুধজাতীয় এবং আরও ভারী যে খাবার গুলো আছে যদি আপনার সন্তান খেতে আগ্রহি দেখায় তাহলে তা খাওয়াইতে পারবেন। তবে অবশ্যই ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়ানোই উত্তম।
বাচ্চাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য করণীয়
আমরা অনেকেই হয়তো মনে করি যে, কেবলমাত্র খাদ্যের জন্যই বাচ্চাদের ওজন হালকা হয়। কিন্ত এটা মনে রাখতে হবে যে, বংশপরম্পনায়ও বাচ্চাদের ওজন হালকা হতে পারে। নিত্যদিনের কার্যকলাপের উপরেও শরীরের ওজন হালকা হতে পারে। সর্বাবস্থায় শরীরের স্বাভাবিক ওজন এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখাই হলো প্রকৃত সফলকাম।
সন্তানের বয়সের সাথে যদি তার উচ্চতা স্বাভাবিক কিংবা যথাযথ ভাবে না হয় তাহলে বুঝতে হবে সন্তানের ক্যালোরির ঘাটতি রয়েছে। সেদিকে খেয়াল রেখে সন্তানের খাদ্য তালিকা প্রয়োজন হলে পরিবর্তন করা দরকার। সন্তান্দের বয়োবৃদ্ধি এবং উচ্চতা স্বাভাবিক গতিতে বাড়তে থাকলে তাদের একদিকে যেমন শারীরিক গঠন ঠিক থাকবে অন্যদিকে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করবে।
বাচ্চাদের ওজন বৃদ্ধির প্রধান উপায়
বাচ্চাদের জন্য দুধ ও দুধজাত খাদ্যঃ বাচ্চাদের ওজন বাড়ানোর জন্য দুধের ভূমিকা অপরিহার্য। নিয়মিত দুধ খেলে সন্তানের প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের অন্যান্য খাবারের সাথে প্রতিদিন দুই গ্লাস করে দুধ খাওয়ার ব্যাবস্থা করতে হবে। এছাড়াও দুধ দিয়ে তৈরী চিজ, ছানা, ক্রিম এবং দুধের সর খাওয়ানো যেতে পারে।
যেসব সন্তান হালকা চেহারার তাদের শরীরের ওজন বাড়াতে নিয়মিত খাবারের সাথে মাখন খাওয়াইতে পারেন। ভাতের সাথে কিংবা রুটির সাথে মাখন খাওয়ালে শিশুর রুচি বৃদ্ধি পাবে এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। বাচ্চার মায়েদের আগে বুঝতে হবে যে, বাচ্চাদের রুচিবোধ আর বড়দের রুচিবোধ সম্পূর্ণই আলাদা।
বাচ্চারা শুধুমাত্র তাদের মুখের রুচি বা ভালো লাগা খাবার গুলোই খেতে ভালোবাসে। কোন খাবারে পুষ্টি বেশি বা কোনটাতে কম তারা সে হিসাব করেনা। বাচ্চার ওজন কম হলে সেই বাচ্চা খুব বেশি খেতে পছন্দ করেনা বা খাওয়ার রুচিও পায়না। বাচ্চা খেতে না চাইলেও যেকোন উপায়ে বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ানো জরুরী।
বাচ্চাদের ওজন বাড়াতে ডিমঃ আমরা সবাই জানি, ডিম একটি অতি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্য। প্রতিদিন বাচ্চাদের একটা করে ডিম খাওয়ানোর অভ্যাস করলে শরীরে বিভিন্ন রকম পুষ্টির অভাব পুরণ করতে সাহায্য করে। ডিমের মধ্যে যে ভিটামিন ও প্রোটিন বিদ্যমান আছে তা অন্য খাবারে তেমন নাই। তাই বাচ্চাদের ওজন বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন ডিম খাওয়ানোর মতো বিকল্প কিছু নেই।
বাচ্চাদের ওজন বাড়াতে আলুঃ আলু খেতে আমরা ছোট বড় সকলেই খুব পছন্দ করি। নিয়মিত আলু খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আলুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি, এমাইনো এসিড এবং পুষ্টিগুণ বিদ্যমান রয়েছে। তাই বাচ্চাদের স্বাস্থ্যগত উন্নতি এবং ওজন বাড়ানোর জন্য অবশ্যই নিয়মিত আলু খাওয়ানোর ব্যাবস্থা করতে হবে।
বাচ্চাদের ওজন বাড়াতে মাংস ও মাংসজাতীয় খাদ্যঃ মাংস খেতে সব শিশু বাচ্চাই অনেক পছন্দ করে থাকে। নরম নরম মুরগির মাংস এবং এই মাংস দিয়ে বানানো খাদ্য সামগ্রি তারা খুবই তৃপ্তি সহকারে খেতে অনেক ভালোবাসে। মাংসে অনেক প্রোটিন যুক্ত থাকে যা বাচ্চাদের ওজন বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করে।
বাচ্চাদের ওজন বাড়াতে পিনাট বাটারঃ পিনাট বাটার পর্যাপ্ত পরিমাণের ক্যালোরিযুক্ত স্বাস্থ্যসম্মত এবং পুষ্টিকর খাদ্য। তাই নিয়মিত অন্যান্য খাবারের সাথে পিনাট বাটার খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। এতে আপনার বাচ্চার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।
বাচ্চাদের ওজন বাড়াতে শুকনো ফলঃ শুকনো ফল যেকোন সময়ে এবং যেকোন মানুষের অত্যন্ত প্রিয় একটি খাবার। আপনার বাচ্চার ওজন বাড়াতে শুকনো ফল খাওয়ানোর অভ্যাস করুন, এতে একদিকে যেমন বাচ্চার রুচিবোধ বাড়বে অন্যদিকে তাদের শারীরিক অবস্থার অনেক পরিবর্তন হবে।
বাচ্চাদের ওজন বৃদ্ধিতে কলাঃ কলা এবং দুধ বাচ্চাদের অতি পছন্দনীয় একটা খাবার। যেই বাচ্চারা যত বেশি কলা খেতে পছন্দ করবে সেই বাচ্চার শারীরিক শক্তি যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি তার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করবে। তাই বাচ্চাদের নিয়মিত কলা খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো করার এবং ভালো রাখার উপায়
বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো করার এবং সেই স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আমরা সবাই অনেক সচেতন থাকার চেষ্টা করি। তার পরেও বাচ্চাদের অনেক সমস্যা দেখা যায়, অনেক শিশু পুষ্টিহীনতায় ভূগে, রুচিবোধ দেখা যায়, ভালো ভালো খাবার খেতেও পছন্দ করেনা, আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অভাব অনটনের কারণে বাচ্চাদের তেমন পুষ্টিকর খাবারের ব্যাবস্থা করার সামর্থ থাকেনা।
আমাদের আশেপাশে অনেক শাক সবজি দেখা যায়, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে শাক সবজি বেশি দেখা যায়। যাদের পক্ষে ভালো ভালো পুষ্টিকর খাবার কেনার অবস্থা থাকেনা, ফলমূল, দুধ, কলা বা ফাস্টফুড কেনার সামর্থ থাকেনা তাদের জন্য বা তাদের বাচ্চাদের জন্য বাড়ির আশেপাশে যেসব শাক সবজি পাওয়া যায় এগুলো খাওয়ানোর অভ্যাস করুন।
তাহলে আপনার বাচ্চারা সুস্থ্য থাকবে এবং শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে। আপনার শিশুকে প্রতিদিন ব্যায়াম বা বিভিন্ন খেলাধুলার মতো শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন খেলাধুলার সাথে রাখতে হবে তাহলে শিশুর শারীরিক ফিটনেস ঠিক থাকবে। আপনার বাচ্চার স্বাস্থ্য ভালো করার জন্য উপরোক্ত খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করুন এবং সেই ভালো স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য তাদের সবসময় চোখে চোখে রাখুন। তাদের শরীরের কোন রকম সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ভালো কোন শিশু ডাক্তারের পরাপর্শ নিয়ে চিকিতসা সেবা নিন, ইনশাআল্লাহ আপনার বাচ্চা সুস্থ্য ও সবল থাকবে।
লেখকের মন্তব্যঃ
বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো করার জন্য প্রত্যেক মা-বাবাই অনেক পদক্ষেপ গ্রহন করে থাকেন এবং সেই স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্যেও অনেক কিছু করে থাকেন। বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে সবাই আনন্দে থাকে পক্ষান্তরে বাচ্চাদের কোন সমস্যা হলে বা বাচ্চা অসুস্থ্য হলে মা-বাবা সহ আত্বীয়স্বজন সবারই খারাপ লাগে। বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য তাদের অবশ্যই পুষ্টিকর খাবারের ব্যাবস্থা রাখতে হবে এবং যেকোন সমস্যায় ভালো শিশু ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন। এতে করে আপনার সন্তান সুস্থ্য থাকবে এবং আপনার পরিবারও আনন্দে থাকবে, ভালো থাকবে, ইনশাআল্লাহ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url